শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
শফিকুল ইসলাম রুম্মন, মৌলভীবাজার: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাতসকালে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনার এক কোণে দেখা গেলো এক অভূতপুর্ব দৃশ্য যা কখনো দেখা যায়নি। পথচারীরা রাস্তার পাশে রাখা বেসিনে সাবান, হ্যান্ডওয়াশ এবং পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করছেন। পাশেই ব্যানারে লেখা ‘নিরাপদ কর্নার’।
এই ‘নিরাপদ কর্নার’ স্থাপনের সৃজনশীল উদ্যোগটি নিয়েছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। মূলত তার আগ্রহ ও উদ্যোগে এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেস ক্লাব’র সহযোগীতায় এ সেবামূলক কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়।
শুক্রবার (২০ মার্চ) স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে করোনাভাইরাস (কোভিড – ১৯) সংক্রামণ প্রতিরোধে এবং ‘হাত ধোয়ার অভ্যাস’ ব্যাপকভাবে জনগনের মধ্যে গড়ে তোলার লক্ষে এ উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়। পথচারীরা এ সময়োপযোগী উদ্যোগকে সমর্থন করেন এবং র্যাব কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত এ প্রয়াসের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
র্যাব কমান্ডার আনোয়ার হোসেন শামীম সামাজিক দায়বদ্ধতা ও কর্তব্য পরায়ন জায়গা থেকে প্রতিবন্ধী থেকে শুরু করে পথচারীদের কোভিড – ১৯ সম্পর্কে সতর্ক এবং সচেতন থাকার পরামর্শ দেন এবং সকল প্রকার গুজব এড়িয়ে সময়ে সময়ে সরকার নির্দেশিত নির্দেশনা ও পরামর্শগুলো যথাযথভাবে পালন করার জন্য অনুরোধ করেন।
এ সময় সমাজের বেশকিছু সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
‘নিরাপদ কর্নারে’ হাত ধুতে আসা শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় বলেন, ‘একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে র্যাবের এএসপি সাহেব যেভাবে জাতির এই কঠিন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছেন এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
এ প্রসঙ্গে এ প্রকল্পটির উদ্যোগ গ্রহণকারী র্যাব – ৯’র এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, ‘ আসলে দেশবাসীর এই কঠিন মুহুর্তে তাদের জন্য কিছু করার ব্যক্তিগত তাড়না থেকেই উদ্যোগটি নেওয়া। আমি হয়তো একটি মাত্র নিরাপদ কর্নার চালু করতে পেরেছি কিন্তু আমার বিশ্বাস দেশের যুব সমাজ এগিয়ে এলে সারাদেশেই এই নিরাপদ কর্নারের ধারণাটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। আমি এই কাজে তরুনদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘এ পদক্ষেপটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। জনস্বার্থে গৃহীত এ পদক্ষেপটি মানুষের উপকারে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি ৷