শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
আরিফুর রহমান স্বপন, কুমিল্লা: বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা। হঠাৎ কুমিল্লার চারিদিকে আজানের ধ্বনি। বিভিন্ন এলাকার গ্রাম গঞ্জের বাড়ি, পাড়া মহল্লার মসজিদ এবং আশ-পাশের এলাকার মসজিদগুলো থেকেও থেমে থেমে আজানের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। জানতে চাইলে সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেননি।
এলাকার কয়েকজন তরুণ বলছে, সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে এবং এই মহামারি রোগ থেকে বাঁচার জন্য মহান আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশায় আজান দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, আজান দেওয়া তো ভালো। আজান দেওয়া ভালো। কিন্তু মধ্যরাতে কেন? এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব কেউ দিতে পারেনি।
সকালে এলাকা ঘুরে জানা গেছে, আজানের পর অনেকেই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেছেন।
এ দিকে মধ্যরাতে উঠে শুধু লবন দিয়ে লিকার চা (রং চা) পানের হিড়িক পড়ে ঘরে ঘরে। জানতে চাইলে অনেকে জানান, তারা শুনেছেন করোনা ভাইরাসের সংক্রামন থেকে মুক্তি লাভের জন্য এটি একটি উপায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লাকসাম উপজেলার বেতিহাটি গ্রামের মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি বলেন, ৬/৭ বছর আগে একটি রোগের জন্য সরাদেশের কিছু মানুষের মধ্যে বাঁশের কন্চি কেটে পানি খাওয়ার এমন হিড়িক পড়ে। তাও আবার মধ্যরাতে। আসলে এটি নিছক কুসংস্কার ছাড়া কিছুই না।
তাঁর ধারণা, একটি উগ্রপন্থী ধর্মীয় গোষ্ঠী মানুষের বিপদের সুযোগ বুঝে অত্যন্ত সুক্ষভাবে এবং একটি চক্র ধর্মকে পুঁজি করে অসচেতন মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ওই চক্রেকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।