শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে চান না পুলিশ সদস্যের পিতা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : পুলিশ সদস্যের বৃদ্ধ পিতা আকল মিয়া (৭০) বৃদ্ধাশ্রমে যেতে চান। হবিগঞ্জ শহরতলীর পৈল (ঘরের পাড়) গ্রামের বাসিন্দা মৃত আশ্বব আলীর ছেলে আকল মিয়া হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে চান না জীবননাশের ভয়ে।

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল বেডে শোয়ে শোয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান , তার ছেলে রজব আলী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে কর্মরত। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানায় আছেন রজব আলী। আর তার মেয়ে আছিয়া খাতুন (৩৫) মানসিক ভারসাম্যহীন।

একের পর এক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ভাঙ্গা পায়ের চিকিৎসা নিতে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় গত ১৪ মার্চ ভর্তি হন হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে । ২১ মার্চ হাসপাতালের ডাক্তার তাকে এক্সরে ও অপারেশন করানোর পরামর্শ দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট হাসপাতালে রেফার্ড করেন । তবে বৃদ্ধ পিতার পুলিশ সদস্য ছেলে রজব আলী ও মেয়ে কেউ তার দায়িত্ব না নেয়ায় তিনি হবিগঞ্জ হাসপাতালেই পড়ে আছেন।

বৃদ্ধ আকল মিয়ার বলেন, অবসরপ্রাপ্ত আনসার পিসি শৌচাগার ব্যবহার করার সময় ডান পা ভেঙ্গে যায়। ছেলে কবিরাজ চিকিৎসা করায় ভাল হয়নি। কবিরাজ বলে ডাক্তার দেখাতে। অপারেশন লাগবে পরে কুমিল্লা জেলায় নিয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখান ছেলে রজব আলী। সে ঐ সময় কুমিল্লার এক থানায় কর্মরত ছিল। কয়দিন পরে আকল মিয়াকে বাড়িতে রেখে ফেলে যান। এরপর থেকে বাবাকে কোন চিকিৎসা দেখাশোনা এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রজব আলী।

অবশেষে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে ২০০ টাকা সম্বল নিয়ে ১৪ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি হন। আর ২১ মার্চ তাকে সিলেট রেফার্ড করলেও তিনি এখন পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের বেড নং ( বি ২১ ) এ ভর্তি রয়েছেন। কারণ মহামারী করোনার আতংকে পুরো হাসপাতাল খালি থাকার কারণে তিনি থাকার জায়গা পেয়েছেন।

তিনি বলেন জীবন এখন সংকটাপন্ন। ছেলে ও তার পরিবার বলেছে বাড়ি ফিরলে তাকে জবাই করে মেরে ফেলা হবে। তাই তিনি তার চিকিৎসা জীবনের শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তা চান। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের সাহায্য প্রার্থনা করছেন তিনি। অন্যতায় তাকে পায়ের অপারেশন করিয়ে একটা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর ব্যবস্থ করে দিতে আকুতি তার।

হাসপাতালের ওয়ার্ডের ডিউটিরত নার্স পল্লবী রানী জানান, বৃদ্ধ লোকটিকে কোন ঔষধ দেয়া হয়না। কারণ ডাক্তার তাকে রিলিজ দিয়েছেন। তাই তিনি কোন সরকারি ঔষধ পান না। তবে হাসপাতালের খাবার দেয়া হচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com