শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

মাধবপুরে টমটম চালক খুন, ৫ কিশোরের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি মোবাইলের সূত্র ধরে টমটমের (ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক) চালক আউয়াল হত্যার সাথে জড়িত ৫ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুইজন ৯ম শ্রেণির ছাত্র। গ্রেফতার ৫জনের মধ্যে ২জন সোমবার ও ৩জন রোববার রাতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গত ১৮মার্চ হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া স্ট্যান্ড থেকে ৫ কিশোর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুরমা চা বাগানে বেড়ানোর কথা বলে একটি টমটম ভাড়া করে। তারা ছবি উঠানো ও ঘুরতে বাগানের কিবরিয়াবাদ এলাকার নির্জনস্থানে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা টমটম চালক আউয়ালের উপর চড়াও হয়। তাকে মারধোর করে গুরুত্বর আহত করে টমটম ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। চালক আউয়াল হামলাকারীদের একজনকে চিনে ফেলায় বিপদ হতে পারে এ আশংকায় চালকের গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে কিশোররা। নিহত আউয়াল (১৮) ওই উপজেলার ভেংগাডুবা গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে।

এদিকে টমটম নিয়ে বাড়ি না ফেরায় টমটমের মালিক কামাল মিয়া অনেক খোঁজাখুঁজির পর মাধবপুর থানায় ওই দিন রাতে একটি জিডি করেন। পরদিন ১৯ মার্চ বিকেলে কিবরিয়াবাদ এলাকায় এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ পড়ে আছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আউয়ালের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। পরে নিহত আউয়ালের মামা শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন মাধবপুর থানায়।

জানা যায়, টমটম বিক্রি করে ওই কিশোররা জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা পেয়ে ঢাকায় আমোদ ফুর্তি করে ঘুরে বেড়িয়ে বাড়িতে আসে। এদিকে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই গ্যাংয়ের সদস্য মোশারফকে (১৭) শনিবার রাতে বাড়ি থেকে আটক করে। তার কাছে ছিনিয়ে নেওয়া আউয়ালের মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জোবায়েদ (১৬) ও সজিবকে (১৭) গ্রেফতার করা হয়। পরে ৩জনের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে হাবিব (১৬) ও রাষ্ট্র মিয়া (১৭) নামে আরও দুজনের নাম। পুলিশ তাদেরকেও গ্রেফতার করে।

থানা সূত্র জানায়, গ্রেফতার মোশারফ ও সজিব ৯ম শ্রেণির ছাত্র। বাকি ৩জন বখাটে। এদের ৫ জনের বাড়ি উপজেলার বেলঘর ও সন্তোষপুর গ্রামে।

মাধবপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেন ৫ কিশোর গ্রেফতার ও আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানান, এরা কিশোর অপরাধীর সদস্য। ১০/১৫ জনের একটি গ্যাং রয়েছে। ছিচকে চুরি করতে করতে এরা হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ছিনিয়ে নেওয়া টমটম ও মোবাইল উদ্ধার হয়েছে বলে জানান তিনি ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com