শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ): নভেল করোনাভাইরাস সতর্কতায় প্রশাসনের তৎপরতা জনশূণ্য হয়ে পড়েছে নবীগঞ্জ শহরসহ গ্রামাঞ্চল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সকল প্রকার যান-চলাচল। উপজেলা জুড়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে।
এদিকে সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হলে ও পর্যাপ্ত না হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন শহর ও গ্রামাঞ্চলের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবি অনেক মানুষ। বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হলে তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি তাদের। হতাশা আর সংকটে জীবন যাপনের দিকে দাবিত হচ্ছেন তারা। কেউ পাচ্ছেন আবার কেউ চাচ্ছেন। তিনবার খেতে না পারলে ও পরিবার পরিজন নিয়ে এক বেলা খেতে চান এসব মানুষজন।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ জনসচেতনতা বাড়াতেই ঘর থেকে বাড়ির বাহিরে বের না হতে বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ ও ফামের্সী ব্যতিত। প্রথমেই বন্ধ করে দেয়া হয় সকল প্রকার দোকাপাট। ব্যবসা বাণিজ্য না থাকায় হতাশার মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা । তবে কতদিন থাকবে এই অবস্থা জানা নেই কারো। এজন্য চরম হতাশায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া এবং শ্রমজীবিদের পরিবার চলছে না।
ইসমত আলী নামে এক রিক্সা চালক বলেন, কোনো রখম পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে আমার প্রয়োজন হয় ৩শ টাকা, এখন ১শ টাকা ও হয় না। অপর দিকে এখন রিক্সা ও চালাতে দেয় না। কারো কাছ থেকে ত্রাণ সহায়তা ও পাই না। কিভাবে চলব বুঝতে পারছি না। দিনমজুর আশিক জানান, কাজে যাওয়ার সময় রাস্তায় পেলে পুলিশ দৌড়ায়। পরিবার নিয়ে অনেক চিন্তায় আছি। কিভাবে বাঁচবো। এখন পর্যন্ত কারো সহায়তা পাইনি। শ্রমজীবি আলী জানান, করোনা ভাইরাসে মানুষ কোথাও যাচ্ছে না। অপর দিকে ঘর থেকে বের না হতে প্রশাসন ও নিষেধ করছে বার বার। পরিবার নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। কাজ ও করতে পারছি না, পরিবার ও চলছে না। কারো কাছে যাওয়ার ও জায়গা নেই।
শারীরিকভাবে বিভিন্ন রোগে নবীগঞ্জ উপজেলায় মৃত্যুর সংবাদ শুনা গেলে ও করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। প্রবাস ফেরত অনেকই এখন ও রয়েছেন হোম-কোয়ারেন্টিন। তাদের বাড়ি, বাড়ি গিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিনসহ সেনাবাহিনীর টিম প্রতিদিন খোঁজ খবর নিতে দেখা গেছে। রয়েছে কঠোর নজরদারি। করোনাভাইরাস সতর্কতায় দিন রাত কাজ করছে প্রশাসন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান, আমাদের চাহিদা অনেক, ত্রানও পর্যাপ্ত আছে। সবার নামের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সবার বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে।