রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন
এফ আর হারিছ, বাহুবল (হবিগঞ্জ) : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সকলেই নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করছেন। কিন্তু এতে করে দিন এনে দিন খান, রিক্সা চালক কিংবা নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। তারা দিনাতিপাত করছেন দুঃখ-দুর্দশায়। এ অবস্থায় বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের প্রবাসে অবস্থানরত প্রবাসীরা স্বদেশের মানুষের ভালোবাসায় এগিয়ে আসলেন এবং প্রবাসী স্বদেশ উন্নয়ন ফোরামের ব্যানারে অসহায়, খেটে খাওয়া আর হত দরিদ্রদের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ব্যাবস্থা করলেন।
পুটিজুরী যাদবপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শেখ মুকিদ মিয়া’র উদ্যোগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত এলাকার প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ করে একটি ফান্ড গঠন করা হয় এবং স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে এ ফান্ডে প্রবাসীরা তাদের যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত আর্থিক সহযোগীতা করতে থাকেন। তাদের মধ্যে গ্রীক প্রবাসী জুয়েল আহমেদ ( জুসেল), কাতার প্রবাসী তোফায়েল আহমেদ, ইংল্যান্ড প্রবাসী শাহ মতিউর রহমান রাজু সহ পুটিজুরী ইউনিয়নের সকল প্রবাসীরা দেশের মানুষের মায়ায় লিরলস চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
পরে দেশে অবস্থানরত কুমেদপুর গ্রামের ইংল্যান্ড প্রবাসী শাহ ওয়াহিদুর রহমান নিপু, সাংবাদিক এফ আর হারিছ, পুটিজুরী ইসলামীয়া মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি হোসাইন আহমেদ, শেখ সোহেল আহমেদ, ওয়ার্ড মেম্বার শেখ জসিম মিয়া, হাজী আবুল কালাম সহ এলাকার তরুণ-যুবক ও বিশিষ্ট কয়েকজন মুরুব্বি সহ পুটিজুরী এলাকার গ্রামগুলোতে গিয়ে অসহায় পরিবারগুলোর ঘরের দরজায় খাদ্য সামগ্রী পৌচে দেন। এ কার্যক্রমটা দেখে গরীব মানুষরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান।
গত রবিবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে রাত ৯ টা পর্যন্ত এভাবে রবি – সোম দুই দিন ধরে পুটিজুরীর বিভিন্ন গ্রামে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ বিতরণে প্রত্যেক পরিবারকে ৮ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি পেয়াজ, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল ও একটি সাবান প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে প্রবাসী উদ্যোক্তাদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যারা দিন এনে দিন খান এমন পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার বিতরণের চেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে। কারণ এখনই যাদের খাবার প্রয়োজন তাদেরকেই বেছে বেছে আমরা সাধ্যমত খাবার বিতরণের চেষ্টা করছি। আর আমাদের অনুরোধ- আমাদের মত সারা দেশের প্রবাসীরা যদি যার যার অবস্থান থেকে দেশের অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত একটু প্রসারিত করেন, তাহলে এই দুর্যোগ মুহুর্তে কেটে খাওয়া মানুষগুলো অনেক উপকৃত হবেন।