শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর

হবিগঞ্জে ১০ করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৮ জনই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ফেরত

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ ফেরতদের কারণে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে হবিগঞ্জে। সম্প্রতি হবিগঞ্জের কয়েকটি উপজেলায় অগণন মানুষ নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা থেকে ফিরেছেন। তাদের কারণে হবিগঞ্জে দ্রুত বাড়ছে করণা সংক্রমণ।

সর্বশেষ সোমবার (২০ এপ্রিল) একদিনে হবিগঞ্জের ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ১ জন চিকিৎসক ও ১ জন নার্স ছাড়া বাকি সবাই নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা ফেরত বলে জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, হবিগঞ্জের এই ১০ জনের মধ্যে লাখাইয়ের ৩ জন (২ পুরুষ, ১ নারী)। লাখাইয়ের এ ৩ জনের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স রয়েছেন। এছাড়াও বাহুবলের ১ জন (পুরুষ), আজমীরিগঞ্জের ২ জন (১ নারী, এক পুরুষ), বানিয়াচংয়ের ৩ জন (পুরুষ) ও চুনারুঘাটের ১ জন (পুরুষ) রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এদের মধ্যে ১ জন চিকিৎসক ও একজন নার্স ছাড়া বাকি ৮ জনই সম্প্রতি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যমতে সম্প্রতি শত শত মানুষ জেলার সকল উপজেলায় প্রবেশ করেছেন। যারা ঢাকা কিংবা নারায়ণগঞ্জে থাকতেন। এদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। কারোনায় তারা উপজেলাগুলোতে প্রবেশ করলেও তারা আত্মগোপনে আছেন। তাই তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এতে তারা করোনা আক্রান্ত হলেও তারা রোগ নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছেন। যার ফলে এটি আরো ছড়াচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মূলত লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই এরা দলে দলে ফিরতে শুরু করে। ট্রাক, কাভার্ডব্যান ভাড়া করে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি তাদের শনাক্ত করার। এ ক্ষেত্রে এলাকাবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে। এমনকি যারা আক্রান্ত জেলা থেকে ফিরেছেন তারাও সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। নিজেকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে একই সাথে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। তা না হলে নিজের জন্য যেমন বিপদ হবে তেমনই অন্যদের জন্যও বিপদ হবে।

এর আগে সোমবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৭৮ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে এবং ১০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যাদের সবার বাড়ি হবিগঞ্জ। এ নিয়ে হবিগঞ্জে মোট ১১ জনের করোনা শনাক্ত হলো।

এদিকে গত ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জে ফেরত আসা এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়। এর আগের দিন রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জে আসার পথে চেকপোস্ট থেকে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তার নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

অন্যদিকে সব মিলিয়ে এপর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ১৮ জনের। এর মধ্যে সিলেট জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত ডা. মঈন উদ্দিন গত ১৫ এপ্রিল মারা গেছেন। ওইদিন সকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে গ্রামের বাড়ি ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com