রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর

রাণীনগরে শিলা বৃষ্টিতে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে শিলা বৃষ্টিতে ফসল ও বাড়ী ঘরের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি এলাকার জমির ধান, মৌসুমি বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া শিলা বর্ষনে ফুটো হয়ে গেছে বাড়ি ঘরের টিন। এতে ক্ষতির মূখে পরেছেন হাজার হাজার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, বুধবার বিকেলে হঠাৎ করেই পশ্চিম আকাশে কালো মেঘ দেখা দিলে কিছু ক্ষনের মধ্যেই শুরু হয় বৃষ্টি। আর বৃষ্টির সাথে প্রবল বেগে শিল পরতে থাকে। এতে উপজেলার বড়গাছা, আকনা-বাঁশবাড়িয়া, গিরিগ্রাম, শলিয়া, পানলা, ভাটকৈ, চামটা, আমিরপুর, লক্ষিকোলা, গুয়াতাসহ বেশ কিছু গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর জমির পাকা-আধা পাকা ধান নষ্ট হয়ে যায়্। এছাড়া শিলা বর্ষনে শত শত বাড়ী ঘরের টিন ফুটো ঝাজরা হয়ে যায়।

ভাটকৈ গ্রামের শাহাজান আলী জানান, তিনি প্রায় ২৮ বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছেন। শিলা বর্ষণে সব ধান ঝরে পরে গেছে। বিঘা প্রতি হয়তো এক-দুই মন ধান পেতে পারি। চামটার মিলন, গুয়াতা গ্রামের নওশাদ, জলকৈ গ্রামের দুলাল চন্দ্র, আকনা গ্রামের মোসলেম উদ্দীন জানান, পাকা ধান সম্পন্ন নষ্ট হয়ে গেছে। তবে যে দুই-চার বিঘা জমির ধান কিছুটা কাঁচা রয়েছে সে সব জমিতে হয়তো কিছু ধান পাওয়া যাবে। সিলমাদার গ্রামের রফিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন জানান, শিলা বর্ষনে একদিকে মাঠের ধান অন্য দিকে বাড়ীর ছাউনি টিন ফুটো হয়ে ঝাঁজড়া হয়ে গেছে। কৃষকরা বলছেন, এমনিতেই কয়েক বছর ধরে নানা কারনে ধান আবাদে লোকসান লেগেই আছে । এর মধ্যে শিলা বর্ষনে যে ক্ষতি হলো তা হয়তো আর পোষানো সম্ভব হবেনা।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, শিলা বর্ষনে কয়েক এলাকার আনুমানিক প্রায় ১হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধারনা করছি। তার পরেও মাঠ পর্যায়ে মাঠ কর্মিরা তালিকার কাজ শুরু করেছে। তালিকা হাতে পেলে ক্ষতির পরিমান বলা যাবে।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুন বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বারদেরকে তালিকা তৈরি করে জাম দিতে বলেছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com