বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে ওএমএস ও ভিজিডি’র চাল অবৈধভাবে ক্রয় ও মজুদ রাখার অপরাধে ফারুক হোসেন এক মাছ ব্যবসায়ীর ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বিহারীনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন মিয়া। মাছ ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বিহারীনগর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, বিহারীনগর গ্রামের বাজারের ফারুক হোসেনের তার বাড়িতে সরকারি চাল অবৈধ্য কিনে মজুদ রেখেছেন এমন একটি অভিযোগ উপজেলা প্রশাসনের কাছে করেন উমার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ওরফে মোহাম্মদ আলী। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার বিকেল তার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ৬টি বস্তায় ১৮০ কেজি চাল জব্দ করে প্রশাসন। ১৮০ কেজি চালের মধ্যে দু:স্থ ও অসহায় মহিলা উন্নয়নে’র (ভিজিডি) ৫ বস্তায় ১৫০ কেজি ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’র (ওএমএস) ৩০ কেজি।
ধামইরহাট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতাউর রহমান জানান, সরকারি চাল অবৈধ্যভাবে কিনা ও মজুদ স্বিকার করলে ভ্রাম্যমান আদালতে ফারুক হোসেনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহীন মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, ফারুক এলাকার লোকজনদের পুকুর লীজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন। মাছের খাবার হিসেবে চাল কিনে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে হয়ত ওই চালগুলো কিনেছেন যারা সরকারি পাওয়া এই মোটাজাতের চালগুলো খান না। তবে তিনি কোন চাল ব্যবসার সাথে জড়িত নন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর পেছনে কোন পূর্বশত্রুতাও থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ সময় ধামইরহাট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতাউর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইস্রাফিল হোসেন, উমার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান, ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন মিয়া জানান, জব্দকৃত চালগুলো অসহায়দের মধ্যে বিতরণের জন্যে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে রাখা হয়েছে।