শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা রোগীদের আইসোলেশন সেন্টারে গতরাতে আগুনে পাঁচ জন রোগী মারা যাওয়ার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, উচ্চ ঝুঁকিতে রোগীদের সেখানে রাখা হয়েছিল।
ঢাকার গুলশানে হাসপাতালটি পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) দেবাশীষ বর্ধন বলেন, আইসোলেশন সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছি অস্থায়ীভাবে। সেখানে একটি সানশেডের নিচের রোগীরা মারা যায়।
তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পর ভিকটিমরা সেখান থেকে আর বের হতে পারেননি।
ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দেবাশীষ বর্ধন তদন্ত কমিটির প্রধান।
দেবাশীষ বলেন, টিন শেড দিয়ে হাসপাতালের সম্প্রসারিত অংশে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছিল। পার্টিশনের জন্য সেখানে পার্টেক্সের মতো দাহ্য বস্তু ব্যবহার করা হয়েছিল।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামও আজ ইউনাইটেড হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শন শেষে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসপাতালের সম্প্রসারিত অংশে ফায়ার ফাইটার, ফায়ার ড্রিল এবং ফায়ার-টিম ছিল না। ১১টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের মধ্যে মাত্র তিনটির মেয়াদ ছিল। অন্য আটটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়। হাইড্রেন্ট কে চালাবে, কে কাজ করবে, কার দায়িত্ব এগুলো সুনির্দিষ্ট করা ছিল না।’
মেয়র বলেন, ‘হাসপাতালে মানুষ ভর্তি হয় আরোগ্য লাভ করার জন্য, এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক যে তারা এখানে অগ্নিদুর্ঘটনায় মারা গেলেন।’