মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
কাজী মাহমুদুল হক সুজন, নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বামীর লিঙ্গ কর্তনকারী সেই দিলারা খাতুনকে অবশেষে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে মৌলভীবাজার জেলার শাহবাজপুর গ্রামে পীরের হেফাজত থেকে তাকে আটক করেন চুনারুঘাট থানার ওসি তদন্ত চম্পক দাম। দিলারা থানা হেফাজতে রয়েছেন। গত ৭ জুন দিলারা তার স্বামী ইছাক মিয়ার লিঙ্গ কর্তন করে সেই লিঙ্গ বোতলে ভরে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে ছোট বউ বেলী আক্তার দিলারা খাতুনকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, বউয়ের অমতে দ্বিতীয় বিয়ে করায় গত ৭ জুন রবিবার রাত ২টার সময় উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পাহাড়ী গ্রাম আলীনগরের ইছাক মিয়ার লিঙ্গ কটে নেয় বড় বউ দিলারা। ইছাক আলী একই গ্রামের ছিদ্দিক আলীর কন্যা দিলারা খাতুনকে বিয়ে করেন ৮/১০ বছর আগে। এরা বর্তমানে দুই সন্তানের জনক-জননী। ১৫ বছর ধরে ইছাক সৌদি আরব আছেন। বিগত ৩ বছর আগে তিনি দেশে এসে একই ইউনিয়নের আবাদগাও গ্রামের আব্দুল হামিদের কন্যা বেলী আক্তারকে বিয়ে করেন কিন্তু সেই বিয়ে মেনে নিতে পারছিলেন না বড় বউ দিলারা। ২য় বিয়ে করার কারনে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকতো। লকডাইনের ২০ দিন পুর্বে প্রবাসি ইছাক বাড়িতে আসেন। বাড়ি আসার পর স্ত্রী দিলারার অমতে তিনি ছোট বউর বাড়িতে যাতায়াত অব্যাহত রাখেন। ঘটনার দিন রাতে খাবার দাবার শেষে বড় বউর স্বামীকে আদর করে পিঠা খেতে দেন। পিঠা খেয়ে তিনি অচেতন অবস্থায় বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় ২ টায়-সময় এবং সুযোগে দিলারা স্বামীর লিঙ্গ কেটে নেন। ইছাকের শোর চিৎকারে এলাকাবাসি ঘটনাস্থলে এসে আহত ইছাককে হাসপাতালে প্রেরন করেন। লিঙ্গ কর্তনকারী বড় বউ কাটা লিঙ্গ নিয়ে মৌলভীবাজার পীরের বাড়িতে আত্মগোপন করেন। এ নিয়ে এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে। অবশেষে ছোট বউ বাদি হয়ে দিলারার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।