শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস ঘাঁটি গেড়েছিল জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো. আবদুস শহীদের দেহেও। তবে ১০ দিনের মাথাতেই মুক্তিলাভ করেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের এ সাংসদ। একটি দৈনিকের সাক্ষাৎকালে জানালেন করোনা জয়ের সেই গল্প, ‘এখানে মনোবলটা সবচেয়ে বেশি গুরত্বপূর্ণ। ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই হবে, তবে মনোবল শক্ত রাখতে হবে। এতে আপনি করোনা ভাইরাস থেকে সেরে ওঠার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন। পাশাপাশি আপনার খাদ্যাভাবকে যথাসম্ভব জাগ্রত করতে হবে।’
করোনাকালে খাদ্যাভ্যাস প্রসঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির এ সভাপতি বলেন, ‘গরম পানি, চা, লেবুর রস ও টক খাওয়া লাগবে। এখানে খাওয়ার রুচিটা রিগেইন করাটাই আসল কাজ। এর ফলে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ এগিয়ে যেতে পারবেন। কোনোভাবেই ঠান্ডা কিছু খাওয়া যাবে না।’ নিজের চিকিৎসা নিয়ে বললেন, ‘আমাকে গ্যাস্ট্রোলিভার (শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল) থেকে যখন স্কয়ারে (হাসপাতাল) ভর্তি করা হলো, সেখানে পুরোপুরি আইসোলেশনে রাখা হয়। কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া বাইরের কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগ ছিল না। শুধু টাইমলি নার্সিং এবং পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া কিছু ওষুধ ও একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়, যেগুলো জার্মকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।’ বর্তমানে বাসায় অবস্থান করছেন জানিয়ে আব্দুস শহীদ বলেন, ‘অনেকটা উন্নতির দিকে তবে শরীর অনেক দুর্বল।’
কীভাবে আক্রান্ত হলেন জানতে চাইলে ছয়বারের নির্বাচিত এই সাংসদ বলেন, ‘কোনো না কোনোভাবে ভাইরাসটি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে। ত্রাণ সহায়তার জন্য এলাকায় গিয়েছিলাম। আর গ্রামে গেলে আমার কিছু স্থাপনা আছে যেখানে লোকজন দেখা করতে, কথা বলতে আসেন। তাদের ব্যক্তিগতভাবে সহায়তার চেষ্টা করেছি। সেখান থেকেই আক্রান্ত হতে পারি বলে আমার ধারণা।’ প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থেকে নিরাপদ থাকার ক্ষেত্রে সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণ এই সাংসদের পরামর্শ, ‘এটি বিশ্ব মহামারী। এটি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রত্যেককে আগে নিজের বিবেক জাগ্রত করতে হবে যে, আমি নিরাপদ থাকতে চাই। আমি নিজেকে শক্তিশালী করতে চাই। আমার সুরক্ষা আমার হাতে। এ ছাড়া নিরাপদ থাকার জন্য যতটুকু সম্ভব স্টে হোম, স্টে সেফ, এগুলো আমাদের বেশি অনুসরণ করতে হবে।’
মো. আব্দুস শহীদ গত ১৫ জুন করোনা পজিটিভ হন। প্রথমে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে সতর্কতার জন্য মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে ১৮ জুন স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ২৪ জুন ফের নমুনা সংগ্রহ করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। করোনা জয় করে তিনি ২৫ জুন বাসায় ফেরেন।