শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদফতরে প্রভাব খাটিয়ে ‘স্বামী’ আরিফুল চৌধুরীর জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা তথা জেকেজি হেলথকেয়ারকে সরকারি কাজ পাইয়ে দিতেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী। ফলশ্রুতিতে করোনার এ দুর্যোগকালে জেকেজি হেলথকেয়ার প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) সাবরিনাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এ সময় তেজগাঁও থানায় করা প্রতারণার মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। আদালত শুনানি শেষে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসব কথা উল্লেখ করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘তিনদিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সাবরিনাকে দফায় দফায় মামলার বিষয়ে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি মামলা সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যা যাচাই-বাছাই চলছে। সাবরিনা তার সহযোগীদের (যাদের অনেকে আসামি) নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের পজিটিভ ও নেগেটিভের জাল রিপোর্ট সরবরাহ করেছিলেন। নিরীহ লোকদের টাকা আত্মসাৎ এবং অবহেলার মাধ্যমে রোগের সংক্রমণ বিস্তারে সহায়তা করে আসছে সাবরিনা। সাবরিনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন সূত্রে প্রভাব খাটিয়ে স্বামী আরিফুল চৌধুরীর জেকেজি হেলথ কেয়ারকে বিভিন্ন সরকারি কাজের আদেশ পাইয়ে দিতেন। ফলশ্রুতিতে জেকেজি হেলথ কেয়ার বেপরোয়াভাবে সমাজে এ ক্ষতিসাধন করে এবং বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে সাক্ষ্য প্রমাণে পাওয়া যায়।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামির সহযোগী অন্যান্য পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ, গ্রেফতার, আলামত উদ্ধার, এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কোন ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত তা উদঘাটনে আসামিকে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।’