সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ১৯ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাদ, সুন্দর ও দাঙ্গামুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাসার ছাদে আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু রেমাল পরিণত প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে, মহাবিপদ সংকেত বাহুবলে ৫ আওয়ামীলীগ নেতাকে হারিয়ে আলেম চেয়ারম্যান নির্বাচিত শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাস যোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর- এসপি আক্তার হোসেন জনগণ যাকে ভালবাসবে, দায়িত্ব দিতে চাইবে, তাকেই দেবে- জেলা প্রশাসক বাহুবলে বিয়ের আনন্দ-ফুর্তি চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবতীর মুত্যু বাহুবল উপজেলা নির্বাচন : ২০ প্রার্থীর মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ বাহুবল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম

কাজী মাহমুদুল হক সুজন, হবিগঞ্জ থেকে : হবিগঞ্জের মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম করেছে এক বখাটে। এ ব্যাপারে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন হামলার শিকার গৃহবধূ মোছা. জাহানারা বেগম। ঘটনাটি ঘটে মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে। জাহানার বেগম ওই গ্রামের মো. সিরাজ মিয়ার স্ত্রী ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসনব আলীর পুত্রবধূ।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয়- জাহানারা বেগমের স্বামী জীবিকার তাগিদে প্রায় সময়ই বাহিরে থাকেন। এ সুযোগে একই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো. লিটন মিয়া তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে তিনি জাহানারা বেগমকে কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করেন। প্রতিনিয়ত কুপ্রস্তাবের কারণে জাহানার বেগম লিটন মিয়াকে তার বাড়িতে আসতে নিষেধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন লিটন মিয়া। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহানারা বেগমকে ঘরে একা পেয়ে ঝাপটে ধরেন লিটন। এ সময় লিটন মিয়া জাহানার বেগমের মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে তিনি ব্যার্থ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহানারা বেগমকে মাথায় কুপিয়ে জখম করেন। একই সময় বাহির থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে তাকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে তিনি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্বরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জাহানারাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

এদিকে, এ ঘটনায় গতকাল রবিবার রাত ১২টার দিকে জাহানারা বেগম বাদি হয়ে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী জাহানারা বেগম বলেন- ‘লিটন মিয়া আমাকে ঘরে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দিত। তাই আমি তাকে আমাদের ঘরে আসতে নিষেধ করে দেই। কিন্তু এরপরও সে ঘরে ডুকে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার সাথে আরও দুইজন ব্যক্তি ছিলো।’ অভিযুক্ত লিটন মিয়া বলেন- ‘তাদের সাথে একটি জায়গা নিয়ে আমার বিরোধ চলে আসছে। তাই আমাকে ফাঁসাতে তারা এই ঘটনা সাজিয়েছে। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন মোবাইল ফোনে ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com