শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কবরস্থান নিয়ে বিরোধ; হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর

বাহুবলে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় দিগাম্বর শ্মাশান কালী মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকাল ৪টায় বাহুবল অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত সভা উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহনওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি।

বক্তব্য রাখেন বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াকুত মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াছমিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ কুটি, বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম নূর, ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম, আজমল হোসেন চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু, সাইফুদ্দিন, কামরুজ্জামান বশির, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নীহার রঞ্জন দেব প্রমুখ।

এদিকে উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের গকলপুর ও আশপাশের ১৬ গ্রামের চিহ্নিত চোরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবির জবাবে সভায় উপস্থিত বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এক সপ্তাহের সময় নেন। এ সময়কালের মধ্যে তিনি চিহ্নিত চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সভাকে আশ্বস্থ করেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) কিছুসংখ্যক দূর্বৃত্তরা উপজেলার দিগাম্বর হাজীমাদাম ও রাজসুরত শ্মাশান কালী মন্দির ভাংচুর করে। এ সময় তারা হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ কর্তৃক শ্মাশানঘাটের সীমানা প্রাচীরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের নামফলক, শ্মাশানে থাকা মুর্তি ও সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। এ ব্যাপারে ঘটনার পরদিন শনিবার করুনাময় দেব বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বাহুবল মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। তাছাড়া উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের গকলপুর ও আশপাশের ১৬ গ্রামে চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসী একাধিক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় গ্রামবাসী চিহ্নিত চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com