শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কবরস্থান নিয়ে বিরোধ; হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর

রায়হান হত্যা: সিনিয়র অফিসারের পরামর্শে পালিয়েছিলেন আকবর

তরফ নিউজ ডেস্ক: রায়হানকে একা মারেননি, ৫-৬ জন মিলে মারায় সে মরে গেছে এবং সিনিয়র এক অফিসারের পরামর্শে তিনি পালিয়েছিলেন বলে আটকের পর জনতার কাছে স্বীকারোক্তি দিলেন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া। ভারতের দনা সীমান্ত এলাকায় খাসিয়াদের হাতে আটকের পর এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আকবর নিজে।

তার দেওয়া এমন স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় আকবর হোসেন ভূঁইয়ার মুখে ছাপ দাঁড়ি, গলায় মালা পরিহিত আর খাসিয়ারা তাকে পায়ে ও কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। এমন সময় খাসিয়ারা কোন অপরাধে রায়হানকে মারা হলো জানতে চাইলে আকবরকে বলতে শুনা যায় ‘আমি মারিনি ভাই, আমি ইচ্ছা করে একা মারিনি। তারে মারতেছিলো ৫/৬ জন। পাবলিক মেরেছে তাই সে মরে গেছে। আমি বরং তারে হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু ওখান থেকে সে মরে গেছে। সে টাকা ছিনতাই করেছিলো।’

তাহলে পালিয়েছ কেন এমন প্রশ্নে আকবর বলেন, ‘আমারে এক সিনিয়র অফিসার বলেছেন সাসপেন্ড করেছে। গ্রেপ্তার করতে পারে। তাই তুমি আপাতত চলে যাও। কদিন পরে আইসো। ২ মাস পরে সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। তখন আইসো। আমি অন্য কোন কারণে ভাগিনী ভাই।’

এর আগে গত রোববার গভীর রাতে ভারতের দনা সীমান্ত এলাকার খাসিয়াদের হেডম্যানরা রায়হান হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত এসআই আকবরকে আটক করে তাদের হেফাজতে রাখে।

পরে সোমবার দুপুর ১ টার দিকে ভারতীয় খাসিয়ারা আকবরকে বাংলাদেশ সীমান্তে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীসহ লোকজনদের কাছে বুঝিয়ে দেন। পরে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের একটি টিম তাকে জনতার কাছ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে গুরুতর আহত হন রায়হান। তাকে ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহীসহ পুলিশ সদসরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।

ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, নগরের কাস্টঘরে গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান।

এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সিলেট মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করেন।

মামলাটি পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশে পিবিআইয়ের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com