সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্য সম্পন্ন হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনের ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৪৪ প্রার্থী। এরমধ্যে জামানত হারানোর তালিকায় রয়েছেন ৩১ জন। দেওয়া ভোটের ৮ শতাংশের এক শতাংশ না পাওয়া তাদের জামানত বাতিল করা হবে জানিয়েছেন রিটানিং কর্মকর্তা মো. খুরশেদ আলম।
জামানত বাতিলের তালিকায় আছেন সিলেট-৫ আসনে দশম জাতীয় সংসদ নিবাচনে বিনাভোটে নির্বাচিত বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন ও সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহহিয়া চৌধুরী। মোট দেওয়া (কাস্টিং) ভোটের চেয়ে সেলিম উদ্দিনের ভোট ২৯ শতাংশ কম। আর ইয়াহহিয়া চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে মোট দেওয়া ভোটের ৮ শতাংশের এক শতাংশের চেয়েও কিছু কম ভোট পেয়েছেন। এছাড়া সিলেট-৬ আসনে আলোচিত প্রার্থী শমসের এম চৌধুরী মহাজোট প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার পরও তার কুলা মার্কায় পড়েছে ৮১ ভোট। জামানত রক্ষায় তার প্রয়োজন ছিল ৩৮ হাজার ৬৯৮ ভোট।
রিটানিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলাফলে সিলেট-১ আসনে ১০ জন প্রার্থীর ৮ জনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে দেওয়া ভোট ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬১। জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ৫৪ হাজার ২৪৫ ভোট। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীদের কেউই জামানত রক্ষা করতে পারেননি।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- আলহাজ মওলানা নাসির উদ্দিন (বটগাছ) প্রাপ্ত ভোট ২২০, ইউসুফ আলী (আম) ১৫৫, উজ্জ্বল রায় (কোদাল) ৪১৬, প্রণব জ্যোতি পাল (মই) ১৮৭, মাহবুবুর রহমান (লাঙ্গল) ৫০২, ফয়জুল হক (মিনার) ১৫৯, মো. আনোয়ার উদ্দিন বুরহানাবাদী (হারিকেন) ২৯৯ এবং রেদওয়ানুল হক (হাতপাখা) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ২০২৪।
সিলেট-২ আসনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছে ৬ জন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ইয়াহহিয়া চৌধুরী ১৮ হাজার ৩২ ভোট, মুহাম্মদ মুনতাছির আলী (দেওয়াল ঘড়ি) ৫ হাজার ১৭১, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব (কার) ১ হাজার ১৭০, মো. আমির উদ্দিন (হাতপাখা) ১ হাজার ৭৪০, মো. মনোয়ার হোসাইন (আম) ১ হাজার ১৫৬ এবং মো. মোশাহিদ খান (টেলিভিশন) প্রতীকে ৩০৫ ভোট। এ আসনে মোট দেওয়া ভোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩টি। জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ছিল ১৮ হাজার ৭৩৪ ভোট।
সিলেট-৩ আসনে ৭ প্রার্থীর ৫ জনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে জামানত হারানোর তালিকায় আছেন- লাঙ্গল প্রতীকে উছমান আলী ২ হাজার ৯১৬ ভোট, এম এ মতিন বাদশা (হাতপাখা) ৬৯৮, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল ওদুদ (আপেল) ২২৮, মো. দিলওয়ার হোসাইন (দেওয়াল ঘড়ি) ২ হাজার ৯৮৬ এবং হাফিজ মওলানা আতিকুর রহমান (রিক্সা) প্রতীকে ২৯২ ভোট। এ আসনে ১৪৮ কেন্দ্রের মধ্যে দেওয়া (কাস্ট) ভোট ২ লাখ ৭০ হাজার ৩৫২টি। জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ৩৩ হাজার ৭৯৪ ভোটের।
সিলেট-৪ আসনে ৫ জনের ৩ জনই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- আহমেদ তাজ উদ্দিন তাজ রহমান লাঙ্গল ৪২৩ ভোট, মনোজ কুমার সেন (কোদাল)১৮০ এবং মো. জিল্লুর রহমান (হাতপাখা) ২ হাজার ৩৭০ ভোট। এ আসনে ১৫৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে মোট দেওয়া (কাস্ট) ভোট ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৩টি। জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ৪০ হাজার ৫৭০ ভোট। সে হিসেবে কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাড়া কেউই এই সংখ্যায় পৌঁছাতে পারেননি।
সিলেট-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৮ প্রার্থীর ৬ জনই জামানত হারিয়েছেন। এম এ মতিন চৌধুরী (মিনার) ২৮২, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল মুনীর (সিংহ) ৭১৮, মো. নুরুল আমিন (হাতপাখা) ৮৭৩, বাহার উদ্দিন আল রাজি (উদীয়মান সূর্য) ২১৩, মো. শহিদ আহমদ চৌধুরী (হারিকেন) ৮৩, সেলিম উদ্দিন (লাঙ্গল) ৮ হাজার ২৪২ ভোট। এ আসনে দেওয়া (কাস্ট) ভোট ২ লাখ ৪০ হাজার ৭৫০। জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ৩০ হাজার ৯৩ ভোট।
সিলেট-৬ আসনে ৫ প্রার্থীর ৩ জনই জামানত হারিয়েছেন। এরমধ্যে মো. আজমল হোসেন হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া (কার) ৮৪১ ও শমসের এম চৌধুরী (কুলা) প্রতীকে ৮১ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে মোট দেওয়া (কাস্ট) ভোট ৩ লাখ ৯ হাজার ৫৫৫ জন। জামানত বাচাতে প্রয়োজন ছিল ৩৮ হাজার ৬৯৮ ভোট।