শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক :আগের রাউন্ডে আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে চমক জাগানো কোরনিয়ার উজ্জীবিত ফুটবলে কোপা দেল রেতে বার্সেলোনার টিকে থাকা নিয়েও শঙ্কা জেগেছিল। তৃতীয় সারির দলটির জমাট রক্ষণের সঙ্গে তাদের গোলরক্ষক রামোন হুয়ানের অসাধারণ পারফরম্যান্স। পাশাপাশি দুটি পেনাল্টিসহ অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ের গোলে শেষ ষোলোয় পা রাখে রোনাল্ড কুমানের দল।
কোরনিয়ার মাঠে বৃহস্পতিবার রাতে শেষ বত্রিশের ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে ২-০ গোলে স্বস্তির জয় পায় বার্সেলোনা। উসমান দেম্বেলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর শেষ মুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্টিন ব্রাথওয়েট।
লিওনেল মেসি আছেন নিষিদ্ধ। সঙ্গে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন, ডিফেন্ডার জর্দি আলবা, ছন্দে থাকা মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও ফরোয়ার্ড দেম্বেলেকে ছাড়া খেলতে নামে বার্সেলোনা। নিয়মিতদের অনেকে না থাকলেও অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে চাপ ধরে রাখে তারা।
ম্যাচে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সময় বল দখলে রাখা বার্সেলোনা এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় ৩৯তম মিনিটে। কিন্তু মিরালেম পিয়ানিচের স্পট কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক রামোন। ডি-বক্সে রোনালদ আরাহো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় সফরকারীরা।
৫৮তম মিনিটে আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন অঁতোয়ান গ্রিজমান। পিয়ানিচের ডি-বক্সে উঁচু করে বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ফাঁকায় পেলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
আক্রমণের ধার বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রিকি পুসকে তুলে দেম্বেলেকে নামান কোচ। ৭৪তম মিনিটে নামান সের্হিও বুসকেতস ও পেদ্রিকেও। তারপরও মিলছিল না সাফল্য।
তাদের হতাশার গল্পে যোগ হয় ৮০তম মিনিটে দেম্বেলের ব্যর্থ স্পট কিক। তার দুর্বল সোজাসুজি শটটি অনায়াসে পা দিয়ে ঠেকান রামোন। ডি-বক্সে ক্লেমোঁ লংলে ফাউলের শিকার হলে দ্বিতীয় পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা। আট মিনিট পর পিয়ানিচের বুলেট গতির শটও দুর্দান্ত নৈপুণ্যে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান পোস্টের নিচে চীনের প্রাচীর হয়ে ওঠা কোরনিয়া গোলরক্ষক।
অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি রামোন। একক নৈপুণ্যে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন দেম্বেলে।
একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মার্টিন ব্রাথওয়েট। ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া পেদ্রিকে বাধা দিতে এগিয়ে যান গোলরক্ষক, সুযোগ বুঝে বাঁ দিকে বল বাড়ান তরুণ এই ফরোয়ার্ড। ফাঁকায় বল পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান ডেনিশ ফরোয়ার্ড।
লা লিগায় টানা তিন জয় ও টানা আট ম্যাচে অপরাজিত থাকার আত্মবিশ্বাস নিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপে গিয়ে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা। সেখানে টের স্টেগেনের অসাধারণ নৈপুণ্যে টাইব্রেকারে রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা লড়াইয়ে পেরে ওঠেনি তারা, হেরে যায় আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে।
এবার শক্তি-সামর্থ্যে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা কোরনিয়ার বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্স! কোচ কুমানের দুর্ভাবনা নিশ্চয় বাড়ল আরও।