তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : তৃতীয় দিন ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১ রানে দিনশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ দিনে ৭৬ রান যোগ করতে গিয়ে আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলামের বলে বাকিসব উইকেট হারায় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটে উইন্ডিজদের সংগ্রহ ১১৭/১০।
বড় লিড গড়ার লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নামে ক্যারিবীয়রা। ১৬ ওভারের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে তারা। চতুর্থ দিন খেলতে নেমে রাহী ও তাইজুলের কাছে আত্মসমর্পণ করে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা।
৫২তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১১৭ রানে রাকিম কর্নওয়াল বিদায় নিলে শেষ হয় উইন্ডিজদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং। এর আগে দলীয় সর্বোচ্চ রান করে নাঈম হাসানের বলে বোল্ড হন এনক্রুমাহ বনার। ১২০ বল খেলে ৩৮ রান করেন তিনি।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই জশুয়া ডি সিলভাকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ৪৯তম ওভারের তৃতীয় বল উইন্ডিজ উইকেট রক্ষকের ব্যাট ছুঁয়ে ধরা দেয় স্লিপে থাকা সৌম্য সরকারের হাতে।
মাঠ ছাড়ার আগে ৫৩ বলে ২০ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। ৫১.২ ওভারে তাইজুলের বল খেলতে গিয়ে শান্ত’র তালুবন্দি হন জোসেফ। ৮ বলে ৯ করেন তিনি।
এর আগে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে মাঠ ছাড়েন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তাইজুল ইসলামকে স্টেপ আউট করে খেলতে গিয়ে বল ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাস দারুণ দক্ষতায় স্ট্যাম্পিং করে বিদায় করেন ব্ল্যাাকউডকে। মাঠ ছাড়ার আগে ১০ বলে ৯ রান করেন তিনি।
তবে চট্টগ্রামের মতো ঢাকায় সুবিধা করতে পারেননি কাইল মায়ার্স। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে রাহীর বলেই মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন মায়ার্স। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাকে দুই অংক ছুঁতে দিলেন না টাইগার পেসার। ৩১তম ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে ফেরার আগে ১৬ বল খেলে ৬ রান করেন মায়ার্স।
ব্যাটিং করতে নেমে ওয়ানডে মেজাজে খেলছিলেন এনক্রুমাহ বনার ও জোমেল ওয়ারিক্যান। একের পর এক সিঙ্গেল নিয়ে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ছিলেন দুই ক্যারিবীয়। তবে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারলেন না ওয়ারিক্যান। ২৫তম ওভারের প্রথম বলে রাহীর উইকেটে পরিণত হন তিনি। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ২২ বল খেলে ২ রান করেন এই ক্যারিবীয়।
তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ১৬ ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬ রান করে মাঠ ছাড়েন অধিনায় ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, জন ক্যাম্পবেল করেন ১৮ রান ও শেন মোজলে করেন ৭ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। তিন উইকেট নেন নাঈম হাসান, দুই উইকেট আবু জায়েদ রাহীর দখলে। অপর উইকেটটি পান মেহেদী হাসান মিরাজ।