রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

‘জনস্বার্থে কাজ করলে রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে’

তরফ নিউজ ডেস্ক: জাতির সমৃদ্ধি ও কল্যাণ নিশ্চিতে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাজনৈতিক দলগুলো দরিদ্র মানুষের পাশে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী দাঁড়াতে পারলে দেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপ্রধান।

সোমবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

১০ দিনব্যাপী মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের ৬ষ্ঠ দিনে তেজগাঁ প্যারেড গ্রাউন্ডে রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি সম্মানিত বিশেষ অতিথি এবং বিশিষ্ট লেখিকা সেলিনা হোসেন মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানম এবং নেপালের প্রেসিডেন্টের কন্যা উষা কিরণ ভান্ডারি।

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্যে উদ্যোগী হতে রাষ্ট্রপতি সবাইকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, চিন্তা-চেতনা ও দর্শন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্কুলজীবন থেকেই জনকল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুখ বা আনন্দ সম্পর্কে খুব একটা চিন্তা করতেন না। ছোটোবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু নিজের সুখ-দুঃখের কথা না ভেবে অন্যকে নিয়ে ভাবতেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে যেখানেই অন্যায়-অবিচার, শোষণ-নির্যাতন দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদে নেমে পড়েছেন। কখনো নিজের এবং পরিবারের গণ্ডির মধ্যে বাঁধা পড়েননি।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘আজীবন বাংলা ও বাঙালিকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধু স্থান করে নিয়েছেন মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। দেশবাসীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা এবং আস্থা ছিল অবিচল এবং সবশেষে তিনি বাঙালির ভালোবাসার বিনিময়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।’

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সাথে মিল রেখে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন সরকার তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক উদযাপনে অংশ নেয়ায় রাষ্ট্রপতি নেপালের প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com