রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৪ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করার মামলায় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী মো. মনিরকে (২০) সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার সাইবার ট্রাইব্যুনালের (বাংলাদেশ) বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মনির টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারের মনির টেলিকমের মালিক।
রায় ঘোষণার সময় মো. মনির ট্রাইব্যুালে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলমগীর হোসেন ও শীল সুব্রতকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম (শামীম) বলেন, আসামি মো. মনির হোসেন নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারে মোবাইল ফোনের ব্যবসা করতেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন মোবাইল ফোনে দিতেন। এ অভিযোগে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আসামিকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার উত্তর রৌহান গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন বিভিন্ন লোকজনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বিকৃত ছবি দেখান। বিষয়টি জানতে পেরে সাটুরিয়া থানা পুলিশ আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর জানান, তিনি এই ছবিগুলো টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারের মনির টেলিকম থেকে নিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই থানার এসআই আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মনির ছাড়া মামলার অপর তিন আসামি হলেন- আলমগীর হোসেন, শীল সুব্রত ও প্রভাত চন্দ্র সরকার। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২০ মার্চ সাটুরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন ওই চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রভাত চন্দ্র সরকারকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।