বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বিশ্বনেতাদের মুখে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা

তরফ নিউজ ডেস্ক: মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর ১০ দিনের অনুষ্ঠানের শেষ দিনে বার্তা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক ও পাকিস্তানের সরকারপ্রধান এবং জাতিসংঘের মহাসচিব। শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে তাদের ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

বার্তায় বিশ্বনেতারা সবাই বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। সবাই বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান।

অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মন্তব্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনাকে ও বাংলাদেশের জনগণকে এই অভূতপূর্ব অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই।’

বাইডেন তার অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এটি বিশ্বে উদারতা ও মানবতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র অংশীদার হিসেবে কাজ করবে।’

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রশাসন এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভিডিও বার্তায় বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার আগে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু লন্ডনে যাত্রাবিরতি করেন এবং তখনকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ এবং বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা স্যার হ্যারল্ড উইলসনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।

তিনি মনে করেন ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফর তারই প্রতিফলন। আগামী ৫০ বছর পর বাংলাদেশের শতবর্ষ উদযাপন করবে ব্রিটেন। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির অবদানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। গত ৫ দশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন অসাধারণ নেতা ছিলেন বলে বার্তায় উল্লেখ করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সময়ে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীও পালন করছে।’বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের গঠনমূলক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার বার্তায় শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আপনার ও বাংলাদেশের জনগণের যে গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে তা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিফলিত হয়েছে।

ইমরান খান বলেন, ‘আসুন দুই দেশের জনগণের উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে আরও ঘনিষ্ঠ বন্ধন গড়ি। দুই দেশের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং স্বার্থে মিল রয়েছে। আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তার স্বার্থে দ্বিপাক্ষিক বন্ধন আরও জোরদার করা প্রয়োজন।’

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিগত পাঁচ দশকে সামাজিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তাদের এ উন্নতির জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। আরও অভিনন্দন জানাতে চাই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায়।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রাখছে। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সদস্য বাংলাদেশের। বাংলাদেশ লাখো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। এর জন্য তাদের ধন্যবাদ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com