রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৩ কলম্বিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বাহুবলে স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণের জন্য জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাহুবলে দুই মাস ধরে নিখোঁজ রবিউলের সন্ধান চায় পরিবার যে কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি দেয় সোহাগ ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেপ্তার পিএসসির প্রশ্নফাঁস: দায় স্বীকার করে ৭ জনের জবানবন্দি, ১০ জন কারাগারে দেশের সম্পদ বেচে মুজিবের মেয়ে ক্ষমতায় আসে না: প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে বাহুবলে মানববন্ধন

সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন

তরফ নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারি পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সাত দিনের জন্য সারাদেশে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শুক্রবার রাতে প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এই কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় হয়, এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে।

জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। গণমাধ্যম-এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।

এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আদেশ আগামীকাল শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মারা গেছেন ১০৮ জন, যা এই বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ৷ আর শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৮৬৯ জন৷ সংক্রমণের হার ২২.২১ ভাগ।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ইতিমধ্যে ১৪ দিন গোটা দেশ শাটডাউনের সুপারিশ করেছে। জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ডা. মো. শহীদুল্লাহ শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, এখন যা পরিস্থিতি তাতে সংক্রমণ ঠেকানো না গেলে যে অবস্থা হবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারছি না৷ ভারতের চেয়েও খারাপ হবে৷ তাই আমরা ১৪ দিনের জন্য পুরো দেশ শাটডাউনের সুপারিশ করেছি৷

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ওই মাসের শেষ দিকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। কয়েক মাস কার্যত অচল থাকে গোটা দেশ। পরে সংক্রমণ আস্তে আস্তে কমতে থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া প্রায় সব কিছুতেই বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা পরিস্থিতির আবার অবনতি হতে থাকে। এপ্রিলের শুরুতে সরকার দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। টানা কয়েক সপ্তাহ চলার পর সংক্রমণ কমে আসায় বিধিনিষেধও শিথিল করা হয়।

করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী বেশ কিছু জেলায় বিধিনিষেধ দেয়া হয়। ঢাকার আশপাশের সাত জেলাতেও বিধিনিষেধ চলছে গত মঙ্গলবার থেকে।

এতেও করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হতে থাকায় সারাদেশে শাটডাউনের সুপারিশ করে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা সারাদেশ ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশের কথা জানায়। এরপরই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কঠোর লকডাউনের, যা সোমবার থেকে বাস্তবায়ন হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com