শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাহুবলের বিশিষ্ট সাংবাদিক মাওলানা নূরুল আমিন-এর মাতৃ বিয়োগ বাহুবলে মরহুম মকসুদ আহমেদ লেবু’র স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত কবরস্থান নিয়ে বিরোধ; হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ

হাসপাতালে বেড না পেয়ে গাড়িতেই নারীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার উপসর্গ দেখা দিলে এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তার পরিবার। এক এক করে তিনটি হাসপাতাল ঘুরেও পাওয়া যায়নি বেড । কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউতে বেড খালি না থাকায় তাকে ভর্তি করা যায়নি। পরে অক্সিজেনের অভাবে গাড়িতেই মৃত্যু হয় ৪৫ বছর বয়সী পিয়ারা বেগমের।

শুক্রবার রাতে সিলেট নগরীতে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত পিয়ারা বেগম সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মুহিত মিয়ার স্ত্রী ও সিলেটের জমিন পত্রিকার ওসমানীনগর প্রতিনিধি রায়হান আহমদের মা।

বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম মুজিবুর রহমান বলেন, পিয়ারা বেগম আমার আত্মীয়। গত কয়েকদিন আগে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। ধীরে ধীরে করোনো উপসর্গ বাড়তে থাকে। শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

তিনি বলেন, পরে তাকে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেড না পেয়ে পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও একই অবস্থা। পরে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় আল হারামাইন হাসপাতালে। কিন্তু সেই হাসপাতালেও বেড খালি পাওয়া যায়নি। সেখানে থেকে অন্য আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন পিয়ারা বেগম।

তিনি আরও জানান, মৃত্যুর পর রোগীকে তার গ্রামের বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুধু পিয়ারা বেগম নয়, আইসিইউ সংকট থাকায় সিলেটে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কারণ, সিলেটে আইসিইউর তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এসব রোগীর স্বজনরা একটি আইসিইউ বেডের জন্য আহাজারি করলেও তা কোথাও পান না। আইসিইউতে থাকা কোনো রোগী মারা গেলে কিংবা কেউ সুস্থ হয়ে আইসিইউ ছেড়ে দিলে তবেই ভর্তির সুযোগ থাকে। শূন্য হওয়া আইসিইউ বেডের জন্য আবার বেশ কয়েকজন রোগী অপেক্ষামান থাকেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com