শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার উপসর্গ দেখা দিলে এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তার পরিবার। এক এক করে তিনটি হাসপাতাল ঘুরেও পাওয়া যায়নি বেড । কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউতে বেড খালি না থাকায় তাকে ভর্তি করা যায়নি। পরে অক্সিজেনের অভাবে গাড়িতেই মৃত্যু হয় ৪৫ বছর বয়সী পিয়ারা বেগমের।
শুক্রবার রাতে সিলেট নগরীতে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত পিয়ারা বেগম সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মুহিত মিয়ার স্ত্রী ও সিলেটের জমিন পত্রিকার ওসমানীনগর প্রতিনিধি রায়হান আহমদের মা।
বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম মুজিবুর রহমান বলেন, পিয়ারা বেগম আমার আত্মীয়। গত কয়েকদিন আগে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। ধীরে ধীরে করোনো উপসর্গ বাড়তে থাকে। শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
তিনি বলেন, পরে তাকে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেড না পেয়ে পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও একই অবস্থা। পরে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় আল হারামাইন হাসপাতালে। কিন্তু সেই হাসপাতালেও বেড খালি পাওয়া যায়নি। সেখানে থেকে অন্য আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন পিয়ারা বেগম।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুর পর রোগীকে তার গ্রামের বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুধু পিয়ারা বেগম নয়, আইসিইউ সংকট থাকায় সিলেটে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কারণ, সিলেটে আইসিইউর তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এসব রোগীর স্বজনরা একটি আইসিইউ বেডের জন্য আহাজারি করলেও তা কোথাও পান না। আইসিইউতে থাকা কোনো রোগী মারা গেলে কিংবা কেউ সুস্থ হয়ে আইসিইউ ছেড়ে দিলে তবেই ভর্তির সুযোগ থাকে। শূন্য হওয়া আইসিইউ বেডের জন্য আবার বেশ কয়েকজন রোগী অপেক্ষামান থাকেন।