মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ (জামালপুর): চলতি বছরের ২ মার্চ জামালপুরের পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ। যোগদানের পর গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৭৯৫.১ গ্রাম হিরোইন, ৭ হাজার ৫৬৫ পিস ইয়াবা, ৬৪.২৩কেজি গাজা, ১৭১লিটার চোলাইমদ ও ৫৫০ লিটার ওয়াশ, ২১৪পিস সিডিল ট্যাবলেট, ১৫পিস ইনজেকশন ও ৭পিস এভিল ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে। যার টাকায় মুল্য ১ কোটি ১০লক্ষ ১৭ হাজার ৫০০টাকা।
এ সময় জামালপুরর সর্বমোট ২ হাজার ৬১০জন অপরাধীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে মামলার তদন্ত কাজ শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিলের রেকর্ড করেছে পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিনের আহাম্মদের দিক নির্দেশনায়। জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় একটি মামলা মাত্র ২০ ঘন্টায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। যার পিছনে ছিলেন এসপি নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি জেলা হচ্ছে জামালপুর। দেশের বৃহত্তম দুই নদী যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র এই জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। জেলায় বিস্তীর্ণ নদী থাকায় এখানে প্রায় সময় নৌ-ডাকাতি একটি সাধারন বিষয় হয়ে দাড়িয়ে ছিল। তিনি যোগদানের পর কঠোর পর্যবেক্ষনের ফলে গত ৩ মাসে একটিও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
এছাড়া জেলার সাথে ভারতীয় সীমান্ত থাকায় এখানে চোরাচলান নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল। কিন্তু এসপি হিসাবে নাসির উদ্দিন আহাম্মেদের যোগদানের পর সীমান্তে চোরাচালন শতভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি মাদকের ভয়াল ছোবল থেকেও রক্ষা পেয়েছে যুব সমাজ।
সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, জুয়া ও বাল্যবিয়ে বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করার ফলে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে জামালপুরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন সময়ে এসপি নাসির উদ্দিন আহাম্মেদের ভুমিকা ছিল নজরকাড়া। সরকার ঘোষিত কঠোর লক ডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের ভুমিকা ছিল অত্যন্ত কঠোর পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম খাদ্য সহায়তা, আর্থিক সহায়তা ও মাস্ক বিতরণ কর্মসুচিগুলো ছিল প্রশংসার দাবীদার।