মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও দাবি করেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের যে সমাধি আছে সেখানে তার মরদেহ নেই। তিনি বলেন, ‘হাজার লোক জানাজা পড়া আর কফিনে লাশ থাকা এক কথা নয়। ওই কফিনে জিয়াউর রহমানের মরদেহ ছিল না। বিএনপি সত্যকে গোপন করতে চায়। কিন্তু সত্য থেকে পালিয়ে যেতে পারবে না।’
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই ফ্লোরে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শীর্ষক’ সেমিনারে নিজের বাসা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাসের সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে যে বুলেটে, সেই বুলেটে জেনারেল জিয়াকেও চলে যেতে হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের জানাজায়ও হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। কিন্তু কফিনে তো তার লাশ ছিল না।’
দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে জানিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনসমর্থন না পেয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়ে অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যেতে চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারকারী একটি চক্র। দেশের অগ্রযাত্রা টিকিয়ে রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থন না পেয়ে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বিএনপি, তারা দেশ-বিদেশের নানান স্থানে মিটিং, লবিস্ট নিয়োগ এবং অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।’
বঙ্গবন্ধু তৃতীয় বিশ্বের নেতা হিসেবে উত্থান, তা অনেকেরই পছন্দ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জেলের জাল পরিয়ে বাসন্তীকে দিয়ে নাটক সাজানো হয়েছিল, কারণ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু সরকারের সুনাম নষ্ট করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য, যা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।’
সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।