মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: চলমান টিকাদান কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতি মাসে ২ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
সরকার এ বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ২০ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার আশা করছে ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা দেওয়া শুরুর পর ৮ মাসে ৩ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ফলে, মাসে ২ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা উচ্চাভিলাষী বলে মনে হলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা প্রতি মাসে ২ কোটি সিনোফার্মের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। যদি আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেগুলো পাই।’
জুন মাসে সরকার চীন থেকে দেড় কোটি সিনোফার্মের টিকা কেনার পর টিকা কর্মসূচি কিছুটা গতি পায়। এ ছাড়া, কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশ গত তিন মাসে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় ১ কোটি ডোজ টিকা পেয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ‘সরবরাহ এখন বেশ ভালো। আমরা অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে ২ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ আরও ছয় কোটি ডোজ সিনোফার্মের টিকা পাওয়ার কথা। এ ছাড়া, কোভ্যাক্সের আওয়তায় সাড়ে ১০ কোটি সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
আগামী মাস থেকেই এগুলো আসতে শুরু করবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কোভ্যাক্স থেকে সাড়ে ১০ কোটি টিকা (সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক) যুক্তিসঙ্গত মূল্যে কিনতে রাজি হয়েছি। এগুলো চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে দেশে পৌঁছাবে।’
এ ছাড়া, এ বছরের শেষ নাগাদ কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশ বিনামূল্যে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা পাবে বলে জানান তিনি।
সরকারের প্রতি মাসে চার কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার সক্ষমতা থাকলেও টিকা স্বল্পতার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড -১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘আমরা প্রতি মাসে ২ কোটি ডোজ দিয়ে টিকা ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা প্রস্তুত করছি।’
গতকাল রাতে বাণিজ্যিকভাবে কেনা সিনোফার্মের টিকার ৫৪ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ ঢাকায় পৌঁছায়।
এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় ১ দশমিক ২৫ লাখ মানুষ টিকার দুটি ডোজ এবং প্রায় ২ দশমিক ১ কোটি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, তারা শহর ও গ্রামাঞ্চলে টিকা প্রদানের বৈষম্য কমাতে কাজ করছেন।
টিকা কর্মসূচিতে যুক্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দেবো।’
গত মাসের বিশেষ টিকা কর্মসূচিতে তারা যে ত্রুটিগুলি পেয়েছিলেন, সেগুলো ইতোমধ্যে সমাধান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশা করছেন, পরের মাস থেকে ২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া শুরু হলে, ভোগান্তির অবসান ঘটবে।