শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

ই-কমার্সে শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি কমিশন হচ্ছে

তরফ নিউজ ডেস্ক: ই-কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি তদারকি সংস্থা বা রেগুলেটরি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। এছাড়া দেশে এখন বিদ্যমান ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশের ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে একটি রেগুলেটরি কমিশন গঠন করা হবে। ডিজিটাল প্রতারণা হলে যেন বিচার করা যায়, সেজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে কিছু সংশোধন আনতে হবে। সেই ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’

ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে প্রতিটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘নিবন্ধন ছাড়া ই-কমার্স ব্যবসা করা যাবে না।’

বৃহস্পতিবার থেকেই এসব বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সম্প্রতি ইভ্যালিসহ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লাখ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইভ্যালির সম্পদ খতিয়ে দেখে, গ্রাহক বা মার্চেন্টদের মধ্যে কীভাবে ফেরত দেয়া যায়, তা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তারা পেমেন্ট ব্যাক করবে, তাদের তো সেই অ্যাবিলিটিটাই (সামর্থ্য) নাই এখন। হয় তারা (ইভ্যালি) টাকা সরিয়ে নিয়েছে, না হলে অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ করেছে। যেমন ইভ্যালি বিজ্ঞাপনের পেছনে ব্যাপক টাকা খরচ করেছে। সেই টাকা তো ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা বিভিন্ন জায়গায় স্পন্সর করেছে। এই খেলা সেই খেলার পেছনে র‍্যানডম পয়সা খরচ করে তারা অপচয় করেছে। এখন তো কোনো পার্টনারও তারা পাবে না ব্যবসা কন্টিনিউ করার জন্য।’

সেক্ষেত্রে সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘সরকার তো টাকা নেয়নি। সরকার তো সেই লাভের অংশ নেয়নি। তবে দায় এড়াতে চাচ্ছি না বলেই তো সভাগুলো আমরা করছি। দায় নিয়েই আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে কী করা যায়।’

তিনি জানান, ইভ্যালির সঙ্গেও সরকারের আলোচনা হবে। তাদের যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে যে, কীভাবে তারা গ্রাহক ও মার্চেন্টদের দেনা শোধ করবে, সেটা যুক্তিসঙ্গত হলে তাদের সেই সুযোগ দেয়া হতে পারে।

‘তাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে যে, তাদের চিন্তা চেতনাটা কী? যদি পারে, তারা কীভাবে দেবে, তাদের দেওয়ার কোন সুযোগ আছে কি না, যদি তারা পারে একটা প্ল্যান তারা বের করবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com