মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন
কাজী মাহমুদুল হক সুজন, নিজস্ব প্রতিবেদক: বাঘ আতংক দেখা দিয়েছে চুনারুঘাটে। গ্রাম জুড়ে আতংক বিরাজ করলেও শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শহরেও আতংক দেখা দেয়। মসজিদের মাইকে বাঘ থেকে বাঁচতে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের জন্য ঘোষণাও দেয়া হয়।
বুধবার চুনারুঘাট উপজেলার তিন গ্রামে হঠাৎ আক্রমণ করে ৭ ব্যক্তিকে আহত করে দেওয়ায় সারা উপজেলা জুড়ে আতংক চড়িয়ে পরে।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় আহতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাল্টের করিম চৌধুরী।
তিনি আহতদের দেওয়া বর্ণনা ও পায়ের ছাপ দেখে ওই প্রাণীটিকে প্রাথমিক ভাবে শেয়াল হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তবে, নিশ্চয়তার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।
তিনি বলেন, বাঘ আক্রমণ করলে পিছন থেকে করতো, গায়ে থাবার দাগ বসাতো এবং মেরে ফেলার চেষ্টা করতো।
কুকুর মানুষের অতি পরিচিত প্রাণী। তাই কুকুর হলে আহতরা সহজেই চিনতে পারতেন। মেসো বিড়াল এত উপরে (শুধু মুখে) কামড়াতো না। মেসো বিড়াল আক্রমন করলেও গায়ে নখের দাগ বসাতো। সকল আলামত ও আহতদের বর্ণনা মতে প্রাণীটি শিয়াল বলে ধরে নেওয়া যায়। কোনো কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে গেলে শেয়াল এমন আচরণ করতে পারে। তবে, এটা বেশি দিন করবে না। প্রাণীটির সন্ধান পাওয়া গেলে তাকে না মেরে আটকে রেখে বন বিভাগকে খবর দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। রাতের বেলা একটু সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত ভৌমিক জানান বিষয়টি তিনি জানতে পেরে বন বিভাগের সাথে আলোচনা করেছেন।বন বিভাগের লোকজন ঘটনার স্থানে রয়েছে। আহতদের বন বিভাগ চিকিৎসা বাবদ কিছু নগদ অর্থ সহয়তা দিয়েছে।
উল্লেখ্য,গত বুধবার সকাল ও রাতে হামলা করে উপজেলার আলীরাজাপুর গ্রামের ওয়াজেদ উল্লাহর পুত্র আঃ খালেক (৭০), কবির মিয়ার পুত্র খোকন মিয়া (২২), রাণীরকোট গ্রামের জয়নাল আবেদিনের পুত্র মানিক মিয়া (৪৫), ছৈয়দ উদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (২৪), অজ্ঞাত নামা ভিক্ষুক মহিলা, কালিশিড়ী গ্রামের আঃ করিমের পুত্র আঃ সহিদ (৬৭) ও মাহফুজ মিয়ার কন্যা শিল্পী আক্তার (২২)কে আহত করে এক বা একাধিক হিংস্র প্রাণী।
আহতদের মধ্যে গুরুতর আঃ খালেক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বাকীরা চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন। ৭ জনকে আহত করে অজ্ঞাত হিংস্র প্রাণী। এতে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়।