শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডি পদত্যাগ না করায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন আবাসিক ছাত্রীরা।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময় শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্ররাও আছেন।
আন্দোলনরত একাধিক ছাত্রী জানান, হলের নানা অব্যবস্থাপনা এবং প্রভোস্টের দুর্ব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারী আচরণের অভিযোগে ঘোষিত তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা আজ সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হয়েছে।
তারা আরও জানান, নতুন করে ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি সহকারী প্রভোস্ট। আমাদের দাবি ছিল পুরো প্রভোস্ট বডিকেই পদত্যাগ করতে হবে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুক্রবার ছাত্রীদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তাদের সবকিছু বুঝিয়ে বলেছি। সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে আছি।
তিনি আরও বলেন, ওয়াইফাই সমস্যা, খাবারের মানসহ যাবতীয় সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়েছে। এসব সমাধানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দিয়েছি। এরই মধ্যে সহকারী প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা কনক খানকে ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়া প্রভোস্ট অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্যই কাজ করবে।
এছাড়া আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
১৩ জানুয়ারি দিনগত রাত ১২টা থেকে একই দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশ ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত ছাত্রীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্ররাও ছিলেন। পরে রাত আড়াইটায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে রাতে তারা হলে ফিরে যান।
কিন্তু উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি দাবি করে শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে আবারও বিক্ষোভ করেন আবাসিক ছাত্রীরা। পরে হল প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টদের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দাবি মেনে নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীরা।