শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) ফাইনাল ম্যাচে কখনও হারেনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবারও সেটাই প্রমাণ করল ইমরুল কায়েসরা। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ১ রানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা নিশ্চিত করল কুমিল্লা। এর আগে ২০১৫ সালে প্রথম এবং ২০১৯ সালে দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছিল ফ্রাঞ্চাইজিটি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেয়া ১৫২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেোর মুনিম শাহরিয়ারকে হারায় ফরচুন বরিশাল। মুনিম আউট হন কোনো রান না তুলেই। অবশ্য তাতে কোনো প্রভাব পড়তে দেননি দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নামা সৈকত আলি। খেলতে থাকেন আপনতালে।
দ্রুত অর্ধ-শতক পূর্ণ করার পর আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৫৮ রানে। ৩৪ বলে খেলা এই শৈল্পক ইনিংসটি ১১টি চার এবং একটি ছয়ে সাজানো। তাতেই জয়ের ভিত গড়েন দেন তিনি। এদিকে ওপেনার ক্রিস গেইল করেছেন ৩৩ রান। দলনেতা সাকিব আল হাসান ফেরেন ৭ রানে।
এরপর ১৪ রানে সোহান, ১ রানে ব্রাভো এবং ১২ রানে শান্ত আউট হলে চাপে পড়ে যায় বরিশাল।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা ভিক্টোলিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাট হাতে ক্রিজে ঝড় তুলেন ওপেনার সুনিল নারিন। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই আসে ৭৩ রান। অবশ্য একে দুই উইকেট হারায় ভিক্টোরিয়ান্সরা।
৪ রানে লিটন দাস এবং ৮ রানে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়। এদিকে মাত্র ২১ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর ৫৭ রানে আউট হন নারিন। এরপর যেন উইকেটে ধস নামে। ৯৫ রান তুলতেই হারায় ৬ উইকেট। ৪ রানে ডু প্লেসিস, ১২ রানে ইমরুল কায়েস এবং শূন্যরানে আউট হন আরিফুল ইসলাম।
এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে আবু হায়দার রনিকে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন মঈন আলি। দুজন মিলে তুলেন ৫৪ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে ৩২ বলে ৩৮ রান করে আউট হন মঈন আলি। এদিকে ১৯ রানে রনি এবং শূন্যরানে আউট হন শহীদুল ইসলাম। আর তানভীর ও মোস্তাফিজুর কোনো রান না করেই অপরাজিত থাকেন।