বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বাহুবলে ১৪৪ ধারা জারি

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবলে একই স্থান ও সময়ে পাল্টাপাল্টি সভা আহ্বানকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টির প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া শারমিন ফাতেমা এ নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন। শনিবার দুপুরে উপজেলা সদর এলাকায় মাইকিং করে ঐ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রচার করা হয়।

সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান একটি প্রতিবাদ সভার ঘোষণা করেন। সভাটি শনিবার বিকাল ৩টায় বাহুবল বাজারে অনুষ্ঠিত হবে বলে মাইকিং করা হয়। ঐ রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগ একই সময় ও স্থানে পাল্টা সভা আহ্বান করে মাইকিং করে। এতে শনিবার সকাল থেকে উভয় পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।

ইউএনও মহুয়া শারমিন ফাতেমা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু একই সময় ও স্থানে দুইটি পক্ষ সভা আহ্বান করেছে, সেহেতু সেখানে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হবে বলেই প্রশাসন মনে করছে। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে শনিবার (১২ মার্চ) দুপুর থেকে রবিবার (১৩ মার্চ) পর্যন্ত উপজেলার বাগান বাড়ি থেকে চলিতাতলা পর্যন্ত ও এর আশপাশ এলাকায় সকল ধরণের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

উলে­খ্য যে, গত ০৪ মার্চ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান মিরপুর বাজারে গেলে দুই ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান ও হিরন একটি ড্রেন পরিদর্শনের কথা বলে তাকে বাজারের পিছনে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তার উপর হামলা চলায়। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, রায়হান ও হিরন আমাকে মারপিট করলে আমি একজনকে ধরে ফেলি। এ সময় হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র বের করে এবং আমার সঙ্গে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।

ওপর দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ দুলাল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত দুইজন ছাত্রলীগ কর্মী বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বিরোধী বক্তব্য দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় তার সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের ঝগড়া হয়েছে। তবে হামলার ঘটনা ঘটেনি।

এ প্রেক্ষিতে ৫ মার্চ (শনিবার) উপজেলা চেয়ারম্যানের উপর হামলার অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে সৈয়দ ইসলাম হোসেন বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এতে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান মিয়া ও আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী হিরণ মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করা হয়। এ হামলা-মামলার বিষয়টিকে ঘিরে উভয় পক্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com