বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

আ.লীগ নেতা হত্যা: ছোড়া হয় ১১ রাউন্ড গুলি

তরফ নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় অন্তত ১১ রাউন্ড গুলি।

এরমধ্যে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর শরীরে আটটি গুলি লেগেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন তার স্ত্রী ডলি।

জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় অবস্থান করা বদরুন্নেসার শিক্ষার্থী সামিয়া আফরিন প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার শরীরে দুটি গুলি লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় ১১ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ১১টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কার শরীরে কয়টি গুলি লেগেছে তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দিনগত রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপুকে হত্যা করা হয়। সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাহিদুলকে বহন করা মাইক্রোবাসের চালকও। নিহত জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ডলি।

ইতোমধ্যে শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে নিহত শিক্ষার্থী প্রীতির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

শাহজাহানপুর থানা পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেছেন, জাহিদুলের শরীরে আটটি গুলি লেগেছে। আর প্রীতির শরীরে দুটি গুলি লেগেছে।

শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঠাকুর দাশ বলেন, কার শরীরে কয়টি গুলি লেগেছে তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকারীকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১০টার দিকে জাহিদুল মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থী প্রীতি। তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মুন্না বর্তমানে ঢামেকে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানায়, জাহিদুল ইসলাম যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে অনেক দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্ত হন। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com