রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : সারাদেশে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (৩ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, জাতীয় ঈদগাহসহ সারাদেশের ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে পেশ ইমাম ও খতিবরা ঈদ জামাত পূর্ব বয়ানে মাহে রমজান এবং পরবর্তী ১১ মাসের আমল সর্ম্পকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন।
সারাদেশের ঈদগাহ ও মসজিদগুলোর ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল নামে।
সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত এ ঈদের জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির ছিলেন মসজিদের হাফেজ মো. ইসহাক। এরপর দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।
এদিকে করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত জামাত শুরু হয়। প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমীন। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ সাধারণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
প্রতিটি জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে। এছাড়া মোনাজাতে সব উম্মতে মোহাম্মদির জন্য গুনাহ মাফ চাওয়া হয়েছে। সব মৃত ব্যক্তির কবরের আজাব থেকে মুক্তির দোয়া করা হয়েছে। যে কোনো বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।
নামাজ শেষে দীর্ঘ দুই বছর পর সবাই কোলাকুলিতে মেতে ওঠেন। করোনার পর এবার কোলাকুলি এবং হাতে হাত মেলাতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মুসল্লিরা। তারা জানিয়েছেন, ঈদের নামাজের পর প্রধান আনন্দ কোলাকুলিতেই। এবার তারা সবার সঙ্গে সুন্দর মতো ঈদ উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত।
সকালে জাতীয় মসজিদে প্রধান ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা আসেন। সকালের আবহাওয়া ভালো থাকায় এখানে আসতে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি বলেই জানিয়েছেন তারা।
আল রিফাত নামে পল্টনের এক মুসল্লি বলেন, দীর্ঘ এক মাস রোজা রেখে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারাটাই সব থেকে আনন্দের। আর মোনাজাতে সবার জন্য দোয়া করেছি।
এদিকে সকাল ৯টার পর রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি শুরু হলে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে আসেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। সকাল থেকে একই সঙ্গে সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিরতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।