সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ন
দিদার এলাহী সাজু, বিশেষ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ শহরে নির্মমভাবে খুন হওয়া বানিয়াচংয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী জনি দাস হত্যা মামলায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক যুবকের নাম সাজু মিয়া (৩০)। সে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিম ভাগ গ্রামের মৃত খুশবান মিয়ার ছেলে। সোমবার (৭ জুলাই) ভোরে শহরের আনোয়ারপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে সদর থানা পুলিশ।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম শাহাবুদ্দিন শাহিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “হত্যার পর শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হই যে, সাজু মিয়া এ ঘটনায় জড়িত। তাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। বর্তমানে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোররাতে হবিগঞ্জ শহরের ডাকঘর সংলগ্ন দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকায় এক ভাড়াটিয়া বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সে সময় জনি দাস (১৬) চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করা একাধিক ব্যক্তিকে ধরে ফেললে তারা তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এসময় জনির বড় ভাই জীবন দাস জয় (২০) বাধা দিলে তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে আহত অবস্থায় দুই ভাইকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক জনি দাসকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার ভাই জীবন দাস জয় বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
নিহত জনি দাস বানিয়াচং উপজেলার ১৫ নম্বর পৈলারকান্দি ইউনিয়নের বাঘতলা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা নর্ধন দাশ হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করেন। পরিবারের সবাই শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
এই হত্যাকাণ্ডের পর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠন ও এলাকাবাসী।
পরে এ ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।