শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের রাজার বাজার এলাকায় সরকারি রাস্তায় অবৈধভাবে গেইট ও লোহার রেলিং বসিয়ে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফয়জুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভোরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ফয়জুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে দামোদরপুর গ্রামের সরকারি রাস্তায় জোরপূর্বক গেইট নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের বাধা সত্ত্বেও তিনি কাজ চালিয়ে যান এবং বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী বাসিন্দাদের বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন।
৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এলাকাবাসী ও গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ তালুকদারের উদ্যোগে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর থেকেই ওই প্রভাবশালী নেতা নানা কৌশল অবলম্বন করে কাজটি আটকে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন।
রাস্তাটি সরকারি খাস ও এলজিইডি আইডিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ফয়জুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি এই রাস্তা “এলাকাবাসীকে দিয়ে দিয়েছেন”। অথচ চলতি বছরের ৮ জুলাই তিনি সহকারী জজ আদালত, চুনারুঘাটে উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী হবিগঞ্জ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চুনারুঘাট ও জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জকে বিবাদী করে মালিকানা দাবিতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে বিবাদীরা আদালতে প্রেরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, রাস্তাটি এলজিইডি আইডিভুক্ত এবং পাকাকরণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই সঙ্গে ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি অবৈধ গেইট রাস্তাটির উন্নয়ন কাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় এবং তা অপসারণের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মামলার পর থেকে ফয়জুল ইসলাম গেইট অপসারণের বদলে নতুন কৌশল নিচ্ছেন এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। সর্বশেষ শুক্রবার ভোরে পুরনো গেইটের নিচে আরেকটি গ্রিল গেইট বসিয়ে চলাচলে আরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, “বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালতই নেবে।”