বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফ ও মহেশখালীতে র্যাব ও পুলিশের অভিযানের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক রাতে তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে দুজনকে ‘মাদক চোরাকারবারি’ এবং একজনকে ‘জলদস্যু’ বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের কথা বলা হলেও নিহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের খুরের মুখ এবং মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনাগুলো ঘটে বলে র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য।
র্যাব-৭ টেকনাফ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, ‘ইয়াবার বড় একটি চালান’ আসার খবরে র্যাবের একটি দল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সাবরাং ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন খুরের মুখ এলাকায় অভিযানে যায়।
“তারা সেখানে পৌঁছালে মাদক পাচারকারিরা গুলি ছুড়তে থাকে। র্যাব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামার পর ঘটনাস্থলে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মাহতাব।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবা, দুটি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, একটি বন্দুক ও চারটি গুলি উদ্ধার করেছেন র্যাব সদস্যরা।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘চিহ্নিত এক জলদস্যু’ নিহত হওয়ার খবর দিয়েছেন মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর।
তিনি বলেন, জলদস্যুদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ভোর রাতে মাতারবাড়ী এলাকায় অভিযানে যায়।
“এ সময় জলদস্যুরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। পরে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।”
গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি পাওয়া গেছে। তবে নিহতের নাম-পরিচয় বা উদ্ধার অস্ত্র ও গুলির পরিমাণ তিনি জানাতে পারেননি।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।