শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গাছ চুরির অভিযোগে বনবিভাগ বিভাগের চারজনের বিরুদ্ধে মামলা ৪৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশ বাহুবলে ধান ক্ষেত থেকে ডাকাতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার বিজিবি-সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ সীমানা পরিবর্তন হলো ৪৬ সংসদীয় আসনের চুনারুঘাটে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়: তারেক রহমান জাপা কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষ:  লাঠিচার্জে আহত গণ অধিকার পরিষদের নেতা নুর চুনারুঘাটে বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত

গাছ চুরির অভিযোগে বনবিভাগ বিভাগের চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও তেলমাছড়া বনের মূল্যবান গাছ চুরির অভিযোগে বন বিভাগের চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বেচ্ছাসেবক বন্যপ্রাণী সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটির আহবায়ক মুজাহিদ মসি হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলটি দায়ের করেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক মুহাম্মদ শাহেদুল আলম মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই হবিগঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলা সিআর নং-৭৪৫/২৫ হিসেবে নথিভুক্ত হয় এবং আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট নূর মোহাম্মদ, তেলমাছড়া বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, বন প্রহরী সুমন বিশ্বাস।

অভিযোগ এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২ মার্চ, ২০ মার্চ ও ৯ আগস্ট সাতছড়ি ও তেলমাছড়া বিট থেকে বিপুল পরিমাণ সেগুনসহ মূল্যবান বনজ গাছ কেটে বিক্রি করা হয়। এছাড়া বন্যপ্রাণী পাচার, শিকারিদের সহযোগিতা, বনের ফল বিক্রি করে বন্যপ্রাণীর খাদ্য সংকট সৃষ্টি এবং পর্যটকদের কাছে বিক্রি করা টিকেট বাবদ রাজস্ব আত্মসাৎ করার অভিযোগও আনা হয়েছে। মামলার আইনজীবী শাহ ফখরুজ্জামান বলেন, উদ্যানের মূল্যবান গাছ চুরির ঘটনা দীর্ঘদিনের। জনস্বার্থে মামলা হয়েছে এবং সঠিক রায়ের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে. সিলেটের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবুল কালাম জানান, আমরাও তদন্ত করছি। যারা জড়িত, তাদের বিচার হওয়া উচিত। মামলার বাদি মুজাহিদ মসি জানান,বনের গাছ চুরির রহস্য উন্মোচন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য আমি বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করেছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com