বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

কিবরিয়া হত্যা মামলার ১৪ বছর: বারবার পেছাচ্ছে সাক্ষ্যগ্রহণ, বিচারের আশা হারাচ্ছে পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ২৭ জানুযায়ী। সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৫ সালের এই দিনে হবিগঞ্জ জেলা সদরের বৈদ্যেরবাজারে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন কিবরিয়াসহ পাঁচজন এবং আহত হন কমপক্ষে ৭০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।

এই ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার একটিতে তিনদফা তদন্ত শেষে চার্জশিট গঠনের মাধ্যমে সিলেট দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৫ সালে। তারপর বিগত ৪ বছর ধরেই চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ।

বিচারপ্রক্রিয়ার এ দীর্ঘসূত্রিতায় কিবরিয়া পরিবারের সদস্যরা হারিয়েছেন বিচার পাওয়ার আশা। তাছাড়া তদন্ত প্র্রক্রিয়ায়ও প্রথম থেকেই অনাস্থা জানিয়ে এসেছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এ সাংসদের পরিবারের সদস্যরা। তবে এখনো আশাবাদী মামলার বাদী ও আইনজীবিরা।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে বৈদ্যেরবাজারে ঈদ-পরবর্তী এক জনসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শাহ এএমএস কিবরিয়া।

বক্তব্য শেষে মঞ্চ থেকে নেমে বৈদ্যেরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে আসলে তাঁদের উপর গ্রেনেড হামলা চালায় আততায়ীরা।

এ হামলায় কিবরিয়া ছাড়াও নিহত হন তার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।

সে রাতেই হবিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সাংসদ অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।

কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, “এই মামলায় এই মুহূর্তে আমরা আশাবাদী না। কারণ আমরা এখনো বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে মামলাটা (পরিচালিত) হচ্ছে না। এবং আমরা বারবার যেটা বলছি, তদন্ত যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে মামলা (পরিচালনা) সুষ্ঠু করা সম্ভব না”।

তিনি বলেন, “যেটা করছে তাদের মতো, যারা মামলা পরিচালনা করছেন, বিচার বিভাগের এবং পুলিশের; ওদের ইচ্ছামতো করা হচ্ছে। কিন্তু আসল তথ্য এই মামলার মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো না। সেজন্যেই এটার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী না”।

তবে মামলার বাদী ও হবিগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সাংসদ আব্দুল মজিদ খান বলেন, “দীর্ঘসূত্রিতা বিভিন্ন আইনগত জটিলতার কারণেই হচ্ছিলো। ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তো কোন তদন্তই হচ্ছিলো না”।

তিনি বলেন, “নানা আইনী জটিলতার কারণে মামলা র্দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হয়। আমি বাদী, তাড়াতাড়ি শেষ হোক চাই। আমি সরকারী দলের এমপি, সরকারের লোক এবং আমার লোক নিহত হয়েছেন। আমি চাই এ মামলা তাড়াতাড়ি শেষ হোক, এবং আমার প্রত্যাশা তাড়াতাড়ি শেষ হবে।”।

সিলেট দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি কিশোর কুমার কর জানান মামলার সর্বশেষ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ছিলো গত ৭ জানুয়ারি কিন্তু এদিন আসামী লুৎফুজ্জামান বাবর উপস্থিত না থাকায় আদালত আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেন।

তিনি বলেন, “এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামীরা দেশের বিভিন্ন স্থানের আরো অনেক মামলার আসামী থানায় তাদেরকে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রতিনিয়ত যেতে হয় আর এ কারণে সবসময় উপস্থিত থাকা সম্ভব হয় না। আর আসামীর অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণও হয় না বলে বারবার তারিখ পেছাতে হয়”।

সরকারি এ কৌঁসুলি আরো জানান, এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা অপর মামলাও ২০১৬ সালে হবিগঞ্জ থেকে সিলেট দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয় তবে এ মামলায় এখনো চার্জ গঠন করা যায়নি।

কিবরিয়া ও আরো ৪জনকে গ্রেনেড হামলায় হত্যা মামলার মোট ৩২জন আসামীর মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনকে ইতোমধ্যে অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বাকি ২৯ আসামীর মধ্যে বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ ১০ জন জেলে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গৌছসহ ১২ জন জামিনে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হারিস চৌধুরীসহ ৭ জন এখনো পলাতক রয়েছেন।

এদিকে, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শোক র্যা লি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।

এছাড়া ঢাকার বনানীতে মরহুমের সমাধিতে সকাল ৯টায় পুস্পস্তবক অর্পণ করবে কিবরিয়া পরিবার।

মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া
সে রাতেই হবিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সাংসদ অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।

মামলাটি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)’র তৎকালীন সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মুন্সী আতিকুর রহমান এবং সে বছরেরই ২০ মার্চ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি।

অভিযোগপত্রে তৎকালীন জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ুম, জেলা বিএনপির কর্মী আয়াত আলী, কাজল মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, জিয়া স্মৃতি গবেষণা পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী, বিএনপিকর্মী তাজুল ইসলাম, বিএনপিকর্মী জয়নাল আবেদীন জালাল, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জমির আলী, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন মোমিন ও ছাত্রদলকর্মী মহিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়।

এ অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মামলার বাদী আবদুল মজিদ খান ২০০৬ সালের ৩ মে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নারাজি আবেদন করলে এ মামলার অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডির তৎকালীন এএসপি রফিকুল ইসলামকে।

তারপর শুরু হয় তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা। দীর্ঘ ৫ বছর পর ২০১১ সালের ২০ জুন আরো ১৪ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন এএসপি রফিকুল ইসলাম।

সম্পূরক অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত হয় বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, লস্কর-ই-তৈয়্যবা সদস্য আবদুল মজিদ কাশ্মীরি।

এছাড়াও নতুন এ অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, মহিউদ্দিন অভি, শাহেদুল আলম দিলু, সৈয়দ নাঈম আহমেদ আরিফ, ফজলুল আলম মিজান, মিজানুর রহমান মিঠু, মোহাম্মদ আবদুল হাই, মোহাম্মদ আলী, মুফতি সফিকুর রহমান, বদরুল এনায়েত মোহাম্মাদ বদরুল ও বদরুল আলম মিজান।

সম্পূরক এ অভিযোগপত্রের উপর নারাজি আবেদন করেন কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া। ২০১১ সালের ২৮ জুন হবিগঞ্জ বিচারিক হাকিমের আদালতে নারাজি আবেদন করেন তিনি।

আবেদনে আসমা কিবরিয়া দাবি করেন, অভিযোগপত্র যথাযথভাবে তৈরি হয়নি। হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এমদাদুল হককে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল তথ্য উদঘাটন হবে। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, অভিযোগপত্রে যাদের নাম এসেছে, তার বাইরে আরো অনেকেই জড়িত রয়েছেন।

২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্রের নারাজি আবেদন গ্রহণ করেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক দিলীপ কুমার বণিক। তিনি পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

পুণরায় তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রোকেয়া আক্তারের আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সিলেট অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল। অভিযোগপত্রে নতুন আরো ১১ জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সম্পূরক এ অভিযোগ নতুন আসামিরা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউছ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি তাজ উদ্দিন, মুফতি সফিকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, বদরুল, মহিবুর রহমান, কাজল আহমেদ ও হাফেজ ইয়াহিয়া।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আগের অভিযোগপত্রভুক্ত ইউসুফ বিন শরীফ, আবু বক্কর আবদুল করিম ও মরহুম আহছান উল্লাহকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

৩ ডিসেম্বর মামলার শুনানিকালে চার্জশিটে ত্রুটির কথা উল্লেখ করে সংশোধিত চার্জশিট জমা দেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২১ ডিসেম্বর সংশোধিত চার্জশীট গ্রহণ করেন আদালত। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।

তৃতীয় দফা সম্পূরক চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ার পর ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউছ। এর দুদিন পর ৩০ ডিসেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

এ মামলায় দুই বছর কারাগারে বন্দি থাকার পর হাইকোর্টের আদেশে গত ৪ জানুয়ারি আরিফুল হক চৌধুরী ও জি কে গউছ সিলেট কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ ১০ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে ক্রোক পরোয়ানা জারি করেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রশিদ আহমেদ মিলন।

পলাতক অপর আসামিরা হলেন—মাওলানা তাজউদ্দিন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মোহাম্মদ আলী, বদরুল, মহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, মাওলানা ইয়াহিয়া ও আবদুল জলিল।

দীর্ঘদিন মামলাটি হবিগঞ্জ আদালতে পরিচালনা করার পর ২০১৫ সালের ২ জুন মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালত। পরে ওই বছরের ১১ জুন মামলাটি হবিগঞ্জ আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

সেদিন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আতাব উল্লাহ্ স্বাক্ষরিত মামলার মূল নথি এবং পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) স্বাক্ষরিত কেস ডায়রি (সিডি) কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সিলেটে পাঠানো করা হয়। এক হাজার ৫৬৪ পাতার কেস ডায়েরিটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপির কাছে এবং মামলার মূল নথি পাঠানো হয় একই ট্রাইব্যুনালের বিচারকের কাছে।

সেখানে মামলার ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় এবং ১৩৫ দিনের মধ্যে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করার সময়সীমা শেষ হওয়ায় ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলাটি স্থগিত রাখা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা থেকে এ মামলা কার্যক্রম ১৩৫ দিনের মধ্যে শেষ করা বাধ্যতামূলক নয় বলে অভিমত দেওয়া হলে ওই বছরেরই ১০ মার্চ থেকে ফের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ছিল। কিন্তু এদিন আসামী লুৎফুজ্জামান বাবর উপস্থিত না থাকায় নতুন দিন ধার্য করা হয় আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি।

এ মামলায় সর্বশেষ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর। সেদিন পর্যন্ত এ মামলার ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে, বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলাটি হবিগঞ্জ দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে বিচারিক কার্যক্রমের প্রক্রিয়াধীন থাকার পর সিলেট দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ মামলার অভিযোগপত্র গঠন করা হয়নি।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com