বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : মুন্সিগঞ্জ ও কুষ্টিয়ায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জে নিহত ব্যক্তি নৌ-ডাকাত বলে দাবি করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। অপরদিকে কুষ্টিয়ায় নিহত ব্যক্তি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। উভয় ঘটনা ঘটেছে শনিবার গভীররাতে।
স্টাফ রিপোর্টার: মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত হুমায়ুন (৩০) নৌ-ডাকাত দলের সদস্য এবং তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। শনিবার রাত ২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালি ইউনিয়নের তালেশ্বর ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হুমায়ুন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কালিরচর গ্রামের মৃত মোহন বেপারীর ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, রামদা ও চাপাতি উদ্ধার করেছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, রাত ২ টায় ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত হুমায়ুনকে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে গেলে মহাকালি ইউনিয়নের তালেশ্বর ব্রিজের নীচে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা হুমায়ুন বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় হুমায়ুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এতে ৬ মামলার আসামি হুমায়ুন গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য এস আই দেবাশীষ কুন্ডু ও এএসআই মিনহাজ আহত হয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নাজমুল মালিথা (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তিনি মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬০০ পিস ইয়াবা, ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার রাত দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার গড়াই নদীর চরের এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া শাালিমপুর এলাকার মিরাজ মালিথার ছেলে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার গড়াই নদীর চরের মধ্যে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নাজমুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করেছে।