মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা : সিলেটের মহাসড়কগুলোতে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না অটোরিকশার চলাচল। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মহাসড়কগুলোতে অব্যাহত রয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল। এরফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। সর্বশেষ গত শনিবার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে অটোরিকশা-বাস সংঘর্ষে নিহত হন ৩ জন।
অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়ক চলাচলকারী অটোরিকশাগুলোর বেশিরভাগ চালকই অদক্ষ ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন। নির্বিবাদে এসব গাড়ি চলাচল করলেও প্রশাসন কোনো বাধা প্রদান করছে না। প্রশাসনের সাথে আঁতাত করেই এসব গাড়ি মহাসড়কে চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে।
দেশের মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে সকল মহাসড়কে থ্রি হুইলার অটোরিক্সা, অটোটেম্পু ও সকল শ্রেণীর অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে সরকার। এই আদেশ জারির পর কিছুদিন মহাসড়কে পুলিশ অভিযান চালালেও এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে। পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় মহাসড়কগুলোতে অবাধেই চলছে অটোরিকশা।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কসহ সব সড়কেই অবাধে অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, সিলেটের কিছু সিএনজি অটোরিক্সা সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অবাধে অটোরিকশা চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে বেশিরভাগ অটোরিকশাই ফিটনেসবিহীন। এসব চালকরা হাইওয়ে পুলিশকে নানা সময় গাড়িতে গ্যাস নেয়ার কতা বলে মহাসড়কে অবাধে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন।
মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অটোরিকশা চালানোর কারণে প্রতিদিনই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ গত শনিবার দুপুরে সিলেট-টাকা মহাসড়কের তেতলি বদিকোনা নামকস্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসের সংর্ঘষে এক নববধু ও দুই কলেজ ছাত্রী নিহত এবং ৪জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। প্রতিদিনই এভাবে দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিলেটের কদমতলী পয়েন্ট, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, চন্ডিপুল পয়েন্ট, রেলগেইট সিএনজি স্ট্যান্ড, কীন ব্রিজ মুখ স্ট্যান্ড, বাবনা পয়েন্ট স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাইন ধরে সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ, লালাবাজার, গোয়ালাবাজার নাজির বাজার জগন্নাথপুর, মিরপুর, নবিগঞ্জসহ বেশকিছু স্থানে যাতায়াত করছে। এই মহাসড়কে প্রতিদিনই হাইওয়ে পুলিশের টহল থাকলেও তারা এসব যানবাহানকে কোনো বাধা প্রদান করছেন না। মাঝেমধ্যে হাইওয়ে পুলিশ এসব গাড়ি আটক করলেও পরে জরিমানা দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে নেন মালিকক্ষ। ছাড়া পেয়ে আবারো সেই গাড়ি মহাসড়কে নামানো হয়।
এ বিষয়ে সিলেট শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের টহল পুলিশ প্রতিদিনই হাইওয়ের বিভিন্ন মোড়ে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে এবং মামলা দিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলিও রেকার করে থানায় নিয়ে যাই।
তিনি আরো বলেন, হাইওয়ে পুলিশের লোকবল সংকট ও গাড়ির সমস্যা থাকায় আমরা অনেক সময় অভিযান করতে পারি না তারপরও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।