বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে আর্তনাদে ফেটে পড়েন মা মায়া বেগম। বুধবার (১৩ মার্চ) শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে ছেলের নির্মম হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এসময় তার ছোট ছেলে হাসান মিয়াকে কীভাবে জোরপূর্বক বিষপানে হত্যা করা হয়েছে এবং হাসানের মৃত্যুযন্ত্রণার কথা উল্লেখ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের গ্রেফতার করে ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবী জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা পরিতোষ ভৌমিক, সিন্দুরখান বাজার মসজিদের মোয়াজ্জিম মো. ফারুক মিয়া ও মো. তাজুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী করেন সিন্দুরখান ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী।
নিহত হাসান মিয়ার বড় ভাই জাফর মিয়া বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের লাল টিলা বস্তির চৈতন মুন্ডার বাড়িতে প্রকাশ্যে হাসানের সৎ ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন বেগমের ভাই রিপন মিয়া, তার ভ্রাতুসপুত্র জয় মিয়া ও এলাকার নাঈম মিয়া মিলে হাসান মিয়া (২০) এর উপরে আক্রমণ করে এবং তাকে জোড় পূর্বক ঘাষের ঔষধ খাইয়ে দেয়। ঘটনার ১৫ দিন পর ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান মিয়ার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার ১৫/২০ দিনে আগে রিপন মিয়া ও তার ভাই রিংকু মিয়া গংরা রাতের আধারে হাসান মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা, বটি দেখিয়ে দৌড়ে তুলে। ওইদিন হাসান দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা পায় হাসান। এছাড়াও পারিবারিক কলহের জের ধরে পারভীন বেগম তার ভাইদের মাধ্যমে নিহত হাসানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে মামলা, হামলাসহ প্রাণনাশের হুমকী দেখিয়ে আসছে বলে অভিযোগ জাফর মিয়ার।
এ ব্যাপারে নিহত হাসানের উপরে নির্মম অত্যাচারের বর্ণনা দিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে শ্রীমঙ্গল থানায় ফৌজদারী বিধান অনুযায়ী ১৫৪ ধারার অপরাধ সংক্রান্তে স্বারক নং- ৯০১(৩)/১, তাং-১৮/০২/২০১৯ অনুসারে মামলা নং-১৭/৩৯ দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন মামলাটি তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করলেও এখনও পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, নিহত হাসানের লাশ ময়না তদন্তের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনও আসেনি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর অইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।