রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৬ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশি নারী হুসনে আরা পারভীন (৪২)-এর বাড়ি সিলেটে। স্বামীর সাথে তিনি নিউজিল্যান্ড থাকেন। স্বামী ফরিদ উদ্দিনকে বাঁচাতে গিয়েই পারভীন মারা যান বলে তাদের পারিবকারিক সূত্রে জানা গেছে।
ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চক গ্রামে। আর হুসনে আরা পারভীন সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাঙ্গাল হাটা গ্রামের মৃত নুরুদ্দিনের মেয়ে। ১৯৯৪ সালে বিয়ে হওয়া এই দম্পত্তির এক কন্যা সন্তান রয়েছে।। সর্বশেষ ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন।
ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে এই সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন বাংলাদেশি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে পারভীনই একমাত্র নারী। তবে এ হামলায় বেঁচে গেছেন তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন।
হুসনে আরার ভাগ্নে মাহফুজ চৌধুরী জানান, বিয়ের পর স্বামীর সাথে নিউজিল্যান্ড যান হুসনে আরা। তারা ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় বসবাস করতেন। তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন কিছুদিন দিন ধরে প্যারালাইজড অবস্থায় আছেন। হামলার প্রায় আধঘন্টা আগে হামলা হওয়া মসজিদে অসুস্থ স্বামীকে রেখে পাশ্ববর্তী নারীদের জন্য মসজিদে যান হুসনে আরা।
মাহফুজ চৌধুরী বলেন, প্রায় ১৫ মিনিট পর পুরুষদের মসজিদের ভেতরে গুলির শব্দ শুনে পারভীন তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য বের হন। এসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
নিউ জিল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো নিহত পারভীনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে পারভীনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিউ জিল্যান্ডে অবস্থানকারী তার স্বজনদের জানানো হয়েছে।
নিজের খালু বেঁচে আছেন জানিয়ে মাহফুজ চৌধুরী বলেন, মসজিদের বাইরে গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন মুসল্লি হুইল চেয়ারে করে তাকে (ফরিদ উদ্দিনকে) মসজিদ থেকে বের করে নেওয়ায় তিনি বেঁচে গেছেন।
নিউ জিল্যান্ডে বসবাসকারী নিহত পারভীনের ভাবী হিমা বেগম ঘটনার পর টেলিফোনে সিলেটে থাকা পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। মাহফুজ চৌধুরী বলেন, ‘সন্ত্রাসী হামলার প্রায় একঘণ্টা পর হিমা বেগম ফোন করে পারভীন খালার নিহতের খবরটি আমাদের জানিয়েছেন। তখন বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সকাল ১০টা।