মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : কুলাউড়ায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চললেও ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল না। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট কেন্দ্রে সরবাহকৃত কালি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।
চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম শফি আহমদ সালমানের অভিযোগ, স্ট্যাম্প প্যাডে অতিরিক্ত পানির কারণে কালি ঠিকমত ব্যালটে পেপারে বসছে না। যার কারণে ভোট গণনার সময় এ নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে তিনি যথেষ্ট সন্দিহান। ভোট বাতিলের সংখ্যা বাড়বে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা জানান, তারা যে কালি পেয়েছেন, তাই ভোটারদের দিচ্ছেন। ভোটাররাও এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। তারা নিজেরাও আশপাশের বাজার থেকে কালি ক্রয় করে এনে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। ভোট গ্রহণ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি কম। ভোটের প্রায় অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে ১৫ শতাংশ ভোটই পড়ে নি।
পুরষাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. হানিফ বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোট ২১৪১। বেলা ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২৭৭টি।
গৌড়করণ নুরুল ইসলাম মাদ্রাসার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উত্তম কুমার জানান, তার কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৯৬০। বেলা ১১টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত ৪০৫ জন ভোতার ভোট দেন।
গৌড়িশংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৭৬১ জন। ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ভোট দেন মাত্র ২৯৫ জন।
মনসুরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান জানান, তার কেন্দ্রে মোট ভোট ৩৫০৮। বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ভোট পড়ে ৫০০টি।
ভূকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোট ২৯৭৯টি। বেলা ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ভোট পড়ে ৩০০।
উসাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তার কেন্দ্রে মোট ভোট ৩৬০৫টি। সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়ে প্রায় ৫০০।
বরমচাল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ১১০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০৪৫ ।
বরমচাল চা বাগান কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মুসলিম খান বলেন, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভোট কাস্টিং হয়েছে ৬৩৯ ভোট। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬৫৩ ভোট।
জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল মতলিব ও আব্দুল মুকিত বলেন, জালালাবাদে ৬২০ ভোট কাস্ট হয়েছে। মির্জাপুরে ভোট কাস্ট হয়েছে ৪৫০ ভোট । এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৯৬৫ ভোট।
স্ট্যাম্প এবং কালির সমস্যার বিষয়ে নিশ্চিত করে কুলাউড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদীউর রহমান জাদিদ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে যে কালিগুলো এসেছে আমরা সেই কালিগুলোই সরবরাহ করেছি। এতে আমাদের আর কিছুই করার নেই। তবে যেসব সেন্টারে কালির সমস্যা সেগুলোতে আমরা বিকল্প কালি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।