রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : এ দেশের জনগণ ও মাটির সাথে আওয়ামী লীগের শেকড় গাঁথা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাই বার বার চেষ্টা করেও কেউ এই দলটিকে ধ্বংস করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল অধিকার আদায়ের এবং রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন আওয়ামী লীগকে শেষ করার জন্য আইয়ুব-ইয়াহিয়া চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ এবং খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলাদেশের জনগণের সাথে আর বাংলার মাটিতে এমনভাবেই গাঁথা যে, এটাকে কখনও শেষ করতে পারেনি কেউ’।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে আরও বলেন, ‘বরং আজ এটা প্রমাণিত হয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে যে দল জনগণের কথা বলে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে গড়ে ওঠে, সেই দলই হচ্ছে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যাদের সৃষ্টি, তাদের গোড়ায় কোন মাটি থাকে না। ঐ স্বর্ণলতার মত গাছের ডালে বসে ঐ গাছের রস খেয়ে বাঁচে, গাছ মরে গেলে তারাও থাকে না। কাজেই তাদের কোন অস্তিত্ব থাকে না, ক্ষমতা ছাড়া। সেটাই আজ বাংলাদেশে প্রমাণিত সত্য।’
তিনি বলেন, যে যতই গণতন্ত্র নাই বলে চিৎকার করুক ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারিদের হাতে সৃষ্ট রাজনৈতিক দল কখনই গণতন্ত্র দিতে পারে না। দেশের মানুষের কল্যাণও করতে পারে না। তাই যদি করতে পারতো তাহলে এই ২১ বছর (’৭৫ এর পরে ২১ বছর) যারা যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে পারতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা কিন্তু বাংলাদেশের উন্নতি করতে পারে নাই, করেও নাই। বরং দেশের মানুষকে তারা ভিক্ষুক বানিয়ে রেখেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানের বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা যখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ার ঘোষণা দিলাম তখন তিনি বলেছিলেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভাল না, তাহলে বিদেশ থেকে সাহায্য (ভিক্ষা) পাওয়া যাবে না। এই ছিল তাদের মানসিকতা, কারণ তারাতো দেশের স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করেনি।’
অন্যদিকে জাতির পিতার বক্তব্য- ভিক্ষুক জাতির কোন ইজ্জত থাকে না’ উদ্বৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে কারণে আজকে দেশকে আমরা এমন জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি যে কেউ আর আমাদের করুণার চোখে দেখে না, ভিক্ষুক জাতি হিসেবে দেখে না। বাংলাদেশ মানেই দুর্যোগের দেশ মন্তব্য করে অবহেলার চোখে দেখে না।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, রমেশ চন্দ্র সেন, মুহম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠসিক সম্পাদক মেজবাহউদ্দিন সিরাজ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ এবং আবুল হাসনাত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সভাটি সঞ্চালনা করেন।