রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : নানীর এফ আর টাওয়ারে দুপুর পৌনে ১টায় লাগা আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। উদ্ধার তৎপরতা চলছে হেলিকপ্টারে।
বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এই পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ আল ফারুকের শরীরের শতকরা ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, তার নাম আব্দুল্লাহ আল ফারুকী।
সে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এমবি-এর শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম মকবুল আহমেদ। এছাড়া আবু হোসেন ও রেজাউল আহমেদ নামে দুইজনকে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আগুনের ঘটনায় অপর নিহত একজন হচ্ছেন শ্রীলঙ্কান নাগরিক। নিরস (৪০) নামে শ্রীলঙ্কান এই নাগরিক আগুনের তাপ থেকে বাঁচতে ৭ তলা থেকে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে আহত হলে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিরসের লাশ মর্গে আছে।
এছাড়া ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন, মনির (৫০), মামুন (৩৬) ও মাকসুদুর রহমান (৩২)। ইউনাইটেড হাসপাতপালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও পাঁচজন।
অন্যদিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা গেছেন আমেনা এবং বনানী ক্লিনিকে মারা গেছেন পারভেজ সাজ্জাদ।
চিকিৎসকরা জানান, মারা যাওয়া অধিকাংশ ব্যক্তিরা আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে লাফ দিয়েছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে ভবনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৫ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ১৯ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৪ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিকেল ৫টার দিকে স্বরাষ্ট্র সচিব শহিদুজ্জামান আহত ও দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান।
হেলিকপ্টারে উদ্ধার তৎপরতা হেলিকপ্টারে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। বেলা ৩টা ৪৮ মিনিটে ভবনের ছাদ থেকে সেনা বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধারকরা হয়। এর কিছুক্ষণ হেলিকপ্টারটি ওই এলাকা রেকি করে যায়। পরে ছাদের ওপর শূণ্যে অবস্থান করে একটি দড়ি ফেলে। সেই দড়ি বেয়েই আটকে পড়া একজন হেলিকপ্টারে ওঠেন।