শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

প্রেম সংক্রান্ত বিরোধে মদন মোহন কলেজের শিক্ষক হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর শাহপরান এলাকার খিদিরপুর গ্রামের শফিকুর রহমানের বাসায় লজিং শিক্ষক হিসেবে থাকতেন সিলেট মদন মোহন কলেজের প্রভাষক মো. সাইফুর রহমান (২৯)। শফিকুর রহমানের মেয়ে নিশাত তাসনীম রুপা (২০) কে পড়াতেন তিনি। একপর্যায়ে রুপাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন সাইফুর।

এতে ক্ষুব্দ হন রুপার প্রেমিক মোজাম্মিল হোসেন (২৪)। রুপা ও মোজাম্মিল পরিকল্পনা করে হত্যা করেন সাইফুরকে।

সোমবার দুপুরে মোজাম্মিল ও রুপা সিলেট মহানগর ৩য় আদালতের হাকিম সাইফুর রহমানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য জানান।

মদন মোহন কলেজের শিক্ষক সাইফুর হত্যার ঘটনায় রোববার রাতেই নগরীর টিলাগড় থেকে ছাতক উপজেলার আলমপুর গ্রামের মোজাম্মিল হোসেন (২৪) এবং খিদিরপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিশাত তাসনীম রুপা (২০) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সোমবার (১ এপ্রিল) নিহতের মা রনিফা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। যার নং-০১ (০১/০৪/২০১৯)।

তবে সাইফুররের ঘনিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক সাইফুর রহমানের সাথে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে প্রেম চলছে রুপার। রূপাও ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী। সম্প্রতি মোজাম্মিলের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রুপা। এতে বাঁধা দেন সাইফুর। এতে ক্ষুব্দ হয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, সাইফুরের লাশ উদ্ধারের পরই তদন্তে নামে পুলিশ। এতে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি উঠে আসে। এই সূত্র ধরে মোজাম্মিল ও রুপাকে আটক করা হয়।

সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে তারা ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। প্রেমসংক্রান্ত বিরোধের কারণেই সাইফুরকে হত্যা করা হয় কলেও জবনবন্দিতে জানায় তারা।

তিনি জানান, নগরীর সোবহানীঘাটস্থ হোটেল মেহেরপুরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় প্রভাষক সাইফুর রহমানকে। পরে তার লাশ ফেলে দেয়া দক্ষিণ সুরমায়।

কলেজ শিক্ষক সাইফুর হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা জানান ।

প্রসঙ্গত, মদন মোহন কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক সাইফুর রহমান গোয়াইনঘাট উপজেলার ফলতইল সগাম গ্রামের মো. ইউসুব আলীর ছেলে। গত শনিবার সকাল ১১টার দিকে মেস থেকে বের হন সাইফুর রহমান। রাতে তিনি আর বাসায় ফিরেননি। রবিবার সকালে দক্ষিণ সুরমার তেলিরাই এলাকায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com