রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:০৩ অপরাহ্ন

অনেক জীবন বাঁচিয়ে না ফেরার দেশে ফায়ারম্যান সোহেল রানা

তরফ নিউজ ডেস্ক : পুড়তে থাকা এফ আর টাওয়ারে আটকা পড়া মানুষের জীবন বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোহেল রানাকে বাঁচানো গেল না।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা লিমা খানম জানান, সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৭ মিনিটে রানার মৃত্যু হয়।

এর মধ্য দিয়ে এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়ালো।

কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাংগা গ্রামে। পরিবারের বড় ছলে রানা ২০১৫ সালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন।

গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পর উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন রানা। ২৩ তলা ওই ভবনে আটকা পড়া মানুষদের ল্যাডারের মাধ্যমে নামাচ্ছিলেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন জানান, বাস্কেট বেশি উঠে যাওয়ায় একটি ফ্লোরে আটকা পড়া মানুষগুলোকে নামাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন সোহেল রানা।

“সে তখন মই বেয়ে নামতে যায়। কিন্তু ওই অবস্থায়ই মই চলতে শুরু করলে রানার ডান পা আটকে গিয়ে কয়েক জায়গায় ভেঙে যায়। সেফটি বেল্টের চাপে পেটের একটা অংশও থেঁতলে যায়।”

দুর্ঘটনার পরপরই সোহেল রানাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রতিদিন চার ব্যাগ রক্ত দেওয়া হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নতি হচ্ছিল না। পেটের ক্ষতের কারণে সমস্যা হচ্ছিল রানার।

সে কারণে সিএমএইচের চিকিৎসকদের পরামর্শে গত শুক্রবার রানাকে পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে। তার দেখাশোনা করার জন্য ফতুল্লা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রায়হানুল আশরাফকেও তার সঙ্গে পাঠানো হয়।

এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় সোহেল রানা ছাড়াও আরও পাঁচজন উদ্ধারকর্মী আহত হন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com