বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ঠিক করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (১০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাজাহান ও মো. শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস চেয়ে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি আপিল করেন। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন।
এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর কারাদণ্ড ও ৬ নম্বর অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে আনিত ১ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে বলা হয়।
অন্যদিকে জাপা নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দায়ের করা আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আপিলে খালাসের আর্জিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে।
২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত কায়সারের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। গণহত্যা, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দু’টিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়।
এর মধ্যে ১৪টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় রায়ে। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড, ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বর অভিযোগে সাত বছর ও ১১ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগগুলোতে কোনো সাজা দেওয়া হয়নি তাকে।