মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) থেকে : বানিয়াচং সদরের ঢালি মহল্লার ছুরাব উল্লাহ মিয়ার বাড়িতে আগুনের অলৌকিক তান্ডব দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ দুই সপ্তাহ ধরে চলছে আগুনের এই তান্ডব। প্রথম কয়েকদিন আগুন লাগার বিষয়টি এতো পাত্তা দেয়নি তার পরিবার। কিন্তু কিছুৃ দিন যেতে না যেতেই আগুন লাগার মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। এই অলৌকিক আগুন ধরে বসতঘরের লেপ-তোষক, বিচানা চাদর, সোফা, জুতা, মোজা থেকে শুরু করে রান্না ঘর পর্যন্ত আগুন লেগে পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই আগুন কোথায় থেকে বা কিভাবে লাগে বা এর উৎস কোথায় থেকে এই বিষয়ে কেউ কোনো কিছু বলতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে সরেজমিনে ছুরাব উল্লাহ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় হাজারো মানুষের আনাগোনা। দুর-দুরান্ত থেকে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এই অলৌকিক আগুন দেখতে ভীড় করছেন বাড়িতে। এদের সামলাতে হিমশিম হাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। আগুনের পুড়া কাপড়-চোপড়গুলো পাশের একটি বাঁশ ঝাড়ে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে কথা হয় ছুরাব উল্লা মিয়ার পুত্র মোতাব্বির ও আব্দুল জফুর মিয়ার সাথে। তারা জানান-গত দুই সপ্তাহ পূর্বে এই অলৌকিক আগুনের সৃষ্টি। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে লাগে আগুন। ঘরের খাটের মধ্যে থাকা বিছানা থেকে শুরু করে স্যুকেইসের উপর রাখা ব্রিফকেইস পর্যন্ত এই অলৌকিক আগুন লেগে পুড়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা আরো জানান,এই আগুন থেকে রেহাই পেতে ঘরে রাখা সব আসবাবপত্র সরিয়ে অন্যত্র নেয়া হয়েছে। এর ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বসত ঘর ছাড়াও সামনের আরো দুইটি ঘরে এইভাবে আগুন লাগে। দিনের ৭ থেকে ৮ বার ঘরগুলোর কোথাও না কোথাও আগুন লেগে ক্ষতি সাধন হচ্ছে। মোতাব্বির মিয়া আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা এলাকার হুজুরদের সাথে কথা বলেছি। পাশাপাশি দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করিয়েছি কিন্ত কোনো সুরাহা হচ্ছেনা। জন্মের পর থেকেই আমরা এখানে বসবাস করে আসছি। এইরকম ঘটনা আগে কোন দিন ঘটেনি এটাই প্রথম। এ বিষয়ে বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সামছুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান,এটা কোন আগুন না। এখানে গ্যাসের সম্ভাবনা থাকতে পারে। গ্যাস থাকলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। ঘটনাটি বানিয়াচংয়ের সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।